মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য এক বড় ধরনের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। রাখাইনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে রীতিমত দুর্বল করে তুলেছে। এই গোষ্ঠীর প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীকে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে।
আতাউল্লাহ তার সহযোগীদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকায় গোপনে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই অভিযান চালিয়ে তাকে এবং আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১শ টাকা, একটি ধারালো চাকু এবং একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা মিয়ানমায় নাশকতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, আটক আতাউল্লাহ এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এই গ্রেপ্তারের ফলে আরসা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান আরও তীব্র হবে এবং তাদের অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
আরসা গোষ্ঠী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং মিয়ানমারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এই গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
পুলিশ অভিযানে আটক হওয়া আসামিদের মধ্যে ৪৮ বছর বয়সী আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী সহ আরও ৫ জন সদস্য রয়েছে, যারা নাশকতা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিকল্পনা করছিল।পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকায় গোপনে বৈঠক করছিল, যেখানে তারা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছিল। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১শ টাকা, একটি ধারালো চাকু এবং একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ আদালতে তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন, যার পর আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই গ্রেপ্তারগুলোর মাধ্যমে র্যাব আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পরিকল্পনা এবং কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি এবং মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িত। মিয়ানমার থেকে এর নেতৃত্ব দিচ্ছিল আতাউল্লাহ। তার গ্রেপ্তার একদিকে যেমন মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি বড় ধাপ, তেমনি এটি বাংলাদেশে আরসা গোষ্ঠীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে, এই গ্রেপ্তারের পর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে এবং র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।