রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও,নাজমুল হোসেন :
নাজমুল হোসেন, ঠাকুরগাঁও।। দূর থেকে দেখতে অবিকল সূর্যের মতো সকালে যেদিকে সৃর্যের আলো থাকে সে দিকেই মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। দেখতে ফুল হলেও আসলে এটি একটি তেল জাতীয় ফসল। সৃর্যের মতো দেখতে ও সৃর্যকে অনুসরণ করায় এই ফসলের নাম দেওয়া হয়েছে সানফ্লাওয়ার বা সূর্যমুখী ফুল। এমনি চিত্র দেখা গেছে রাণীশংকৈল উপজেলা বিভিন্ন জায়গায়। এই ফসল চাষ করে অনেক কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি অনেক দর্শনার্থীদের ভির দেখা যায় সূর্যমুখীর সাথে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে।কেউ কেউ ছবি তুলে বা ভিডিও করে কৃষক কে খুশি হয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন বকশিস। প্রতিটি ফসলে এরকম হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুল গোটা এলাকার যেন একরাশ সৌন্দরর্য বাড়িয়ে তুলে আর মনে হয় সবুজ ফসলের মাঠে শোভা ছড়াচ্ছে হলুদ সূর্যমুখী ফুলগুলো।অপরদিকে কেউ যেন ফুল গুলো তুলতে না পারে সেজন্য বসিয়েছেন পাহাড়া।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রজেক্টের আওতায় নেকমরদ গন্ডগ্রাম এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা ২৪-২৫ অর্থ বছরে ৫০ শতক জমিতে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্যাটার্নভিত্তিক একক প্রদর্শনী সূর্যমুখী- আউশ- রোপা আমন মৌসুমে হাইসান ৩৩ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তার এই ব্যতিক্রমী ফসল রাস্তার পাশে হওয়াতে সারাদিন বিভিন্ন পথচারী মোবাইলে ছবি তুলতে ভিডিও করতে ভির জমাচ্ছেন। পথচারী সাইদ বলেন,আসলে এই ধরনের সূর্যমুখী ফসল সবাই চাষ করে না।এই ফসল এলাকার যেমন সুন্দরর্য বৃদ্ধি করে করে তেমনি এ ফসল থেকে তেল উৎপাদন করে অনেক কৃষক লাভবান হয়ে থাকেন।
কৃষক গোলাম মোস্তফার মেয়ে বলেন,এখানে আমি বসে থাকি সারাদিন জাতে কেউ ফুল না তুলতে পারে।আর কেউ যদি ভিতরে ছবি তুলে তাহলে আমাকে বকসিস দেয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রায় দুই শত একর জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।এই ফুল থেকে যে ফল হয় সেটি দিয়ে উন্নত মানের তেল করা হয়।এই তেলের দাম অন্যান্য তেলের চেয়ে দাম বেশি এবং অনেক পুষ্টি কর ও সুস্বাদু। এই ফসলের জমিতে তিনটি ফসল করা সম্ভব।