তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তাপাড়ের লাখ লাখ মানুষ বছরজুড়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করে আসছে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারত এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিভিন্ন রকম বাধা সৃষ্টি করছে। ভারতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের এই প্রকল্পের কাজের গতিশীলতা থামিয়ে দিয়েছে।
ভারত সরকার সেসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যেন তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চূড়ান্ত সমঝোতা না হয়। ভারত মনে করছে, তিস্তা নদী বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত উপাদান হতে পারে, যা তাদের স্বার্থের বিপরীতে পড়তে পারে। সেই কারণে তারা প্রকল্পটির অগ্রগতি রোধ করতে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এদিকে, তিস্তা নদী বাঁচানোর নামে কিছু এনজিও মাঠে নেমেছে, যারা ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা করছে, আবার কেউ কেউ প্রকল্পের কার্যক্রম ব্যাহত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। এতে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে তীব্র বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, যা দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে একধাপ পিছিয়ে ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিস্তা সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশটির সরকারের উদ্দেশ্য হল, নদীটির পানি ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের জনগণের জীবনমান উন্নত করা।
তবে, তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন যতটা জরুরি, ততটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সেটি সফলভাবে সম্পন্ন করা।