নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা আলীগঞ্জ এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে আটক করা হয়। তবে পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি মুক্তি পান।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনএই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
তিনি জানান, পাগলা ও আলীগঞ্জ এলাকার বায়ুমান অত্যন্ত খারাপ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইট-বালু-সিমেন্টের ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম পিয়াস অভিযানে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভাষ্য:
“অভিযানের সময় পিয়াস ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পরও তিনি বাধা সৃষ্টি করেন। পরে আশপাশে আরও লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফতুল্লা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, এক ব্যবসায়ীর ফোন পেয়ে পিয়াস সেখানে উপস্থিত হন এবং সরকারি কাজে বাধা দেন।
ছাত্রনেতার দাবি: ভুল বোঝাবুঝি
তবে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম পিয়াস বলেন,
“আমার এক বন্ধুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন যান। বন্ধু ফোন করলে আমি সেখানে যাই এবং শুধু তাদের পরিচয় জানতে চেয়েছিলাম। কারণ, অনেক জায়গায় ভুয়া পরিচয়ে মানুষ প্রতারণা করছে। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হলেও আমি মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সরকারি কাজে বাধা দেই না, বরং সহযোগিতা করি।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া
সংগঠনটির মহানগর আহ্বায়ক মাহফুজ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন,
“আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি। পিয়াস বলেছেন, তিনি বাধা দেননি। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ও ছাত্রনেতার পাল্টা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি এখন আলোচনায় রয়েছে। তবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া বা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা—এই বিতর্কের মীমাংসা আসন্ন তদন্তের ওপর নির্ভর করবে।