ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে যে তারা ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে প্রস্তুত, তবে এর জন্য রাশিয়ার সম্মতির প্রয়োজন। এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে “বল এখন রাশিয়ার কোর্টে” এবং রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার জন্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই এবং আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে চাই। ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এর জন্য রাশিয়ার ইতিবাচক সাড়া প্রয়োজন।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, “ইউক্রেন শান্তির পথে এগিয়ে আসছে, এখন রাশিয়ার উচিত এই সুযোগ গ্রহণ করা এবং সংঘাত বন্ধ করা। বল এখন রাশিয়ার কোর্টে।”
এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন রক্ষা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা। গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে এবং রাশিয়ার প্রতি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “এই সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই সময়।”
এদিকে, রাশিয়া এখনও এই প্রস্তাবের প্রতি তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার সিদ্ধান্ত এই সংকটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইউক্রেন সংকটের সমাধানের জন্য একটি সম্ভাব্য পথ খুলে দিয়েছে, তবে এর সফলতা নির্ভর করছে রাশিয়ার সাড়ার ওপর।