ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের ফুলকুমার নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে থানাঘাট বাজারে ও ফুলকুমার সেতু, ফসলি জমি এবং নদীতীরবর্তী ভূমিহীন পরিবারগুলো। স্থানীয়রা বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি থানাঘাট বাজার সংলগ্ন ফুলকুমার নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে থানাঘাট বাজার, থানাঘাট সেতু, বেশ কয়েক একর ফসলি জমি ও কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জানিক হোসেন বলেন, “আমরা ভূমিহীন। সরকারি জমিতে বসবাস করি। কিন্তু নদী থেকে এভাবে বালু তোলা হলে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যেতে পারে। আমরা চরম আতঙ্কে আছি।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, “নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে থানাঘাট বাজারের হাটসেড, সেতু এবং ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভূমিহীন পরিবারগুলোও এখন নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কিছুদিন আগে স্থানীয়দের বাধার মুখে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও ফের তা শুরু হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “আমরা তাকে (বালু উত্তোলনকারী) বারবার নিষেধ করেছি, কিন্তু তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ করছেন না।”
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী নজরুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার পৈত্রিক জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর ভরাট করছি। এতে কারও ক্ষতি হওয়ার কথা না। যদি ক্ষতি হয়, তবে আমি ক্ষতিপূরণ দেব।”
পাথরডুবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে।”
এলাকাবাসীর দাবি, স্থায়ীভাবে এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় নদীভাঙনের কবলে পড়ে তারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।