মারুফ সরকার, প্রতিবেদনঃ
বদলে যাচ্ছে বিএনপির মাঠের চিত্র। আর্বিভাব ঘটছে হাইব্রিডদের। আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি। বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। তারাই এখন বিএনপির দাপুটে ‘হর্তাকর্তা’। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারাই এখন নানা জায়গায় দখল পর্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার তারাই এখন তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
বিভিন্ন নেতার বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে এসব নেতার পদচারণাও বাড়ছে। ভিড় করছেন বিভিন্ন লবিং-তদবির নিয়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এখন ‘অসহায়’। হাইব্রিড নেতাদের চাপে তাদের অনেকেই এখন দলীয় কার্যালয়, নেতাদের বাসাবাড়ি এড়িয়ে চলছেন। অহেতুক মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি কুচক্রী মহল ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর ও ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ দখলবাজ একত্রিত হয়ে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বার বার কারানির্যাতিত ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক’কে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পরিবার পরিজন থেকে দুরে থেকেছেন ৬০ টির অধিক মামলা খেয়ে দীর্ঘসময় কারা বরণ করেছে।
দীর্ঘসময় কারাগারে থেকে অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি হয়ে নানান রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।দীর্ঘদিন কারাগারে দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করা ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক’কে গত ৪ মার্চ ২৫ ইং বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করেছেন।যাহা দেখে ফেনী জেলা জাতীয়বাদী ছাত্রদলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভিতর দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।
অপপ্রচারের বিষয়ে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন,এটি একটি পাতানো ফাঁদ।একটি কুচক্রী মহল বিএনপিতে অনুপ্রবেশের কারী সুবিধাভোগী লোক আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার গুলো করে যাচ্ছেন।
আমি তাদের উদ্দ্যোশ্য বলতে চাই,আমার রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন হাইব্রিড নেতারা যাতে কোনো ভাবে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেই বিষয়ে আমি সর্তক থাকতে।দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ আমি করতে দিতে পারি না।আমার এলাকায় নিরিহ মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার জুলুম ও চাঁদাবাজি আমি মেনে নিতে পারি না।
কেদ্রীয় নেতাদের ভুল বুজিয়ে আমাকে দলের সাংগঠনিক কাজ থেকে দুরে রাখান জন্য এই ধরনের নেক্কারজনক কাজ গুলো করেছেন কু-চক্র মহলটি ।তারপর ও আমি বলতে চাই সাময়িক বরিস্কারে আমি বিচলিত নই।আমার পদ না থাকলে ও আমার রাজনীতিক পথপ্রদর্শক আমার রাজনৈতিক আইকন আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বাধ্য ।
তিনি আরো বলেন,বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে অনেকে অনেক অপকর্ম করছেন। যাদের সঙ্গে জাতীয়বাদী ছাত্রদলের ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব বিষয়ে আমি যথেষ্ট সজাগ রয়েছি।বিএনপির দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরিশ্রম করেছেন– আজ না হোক কিছুদিন পর দল যখন বুজতে পারবেন ঠিক তখনি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে এটাই আমি প্রত্যাশা করি।