জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম সদস্য আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া । শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। জুলাই অভ্যুত্থান, রাষ্ট্র সংস্কার এবং দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার তিনি কথা বলেছেন দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের গঠন বা পরিচালনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুরু থেকেই যেহেতু এই সরকারের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতন্ত্রে উত্তরণ) গুরুদায়িত্ব আছে, সে জায়গা থেকে শুরু থেকেই এটা স্পষ্ট করেছি যে, কোনো উপদেষ্টা যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে চান, তাহলে তাকে তার ওপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব ছাড়তে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা তার পদ ছেড়ে দিয়েই কিন্তু নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে যদি আমি কখনো এর অংশ হই, তাহলে বর্তমান দায়িত্ব ছেড়েই সেটি করব। তবে নতুন রাজনৈতিক দলটি দেশের গণতান্ত্রিক চর্চায় নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে বলে প্রত্যাশা থাকবে। শুধু নতুন রাজনৈতিক দল নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, এমনটা প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, একটি স্বৈরাচারী ও এককেন্দ্রিক সরকারের প্রবল নিষ্পেষণের দিনে কোটা আন্দোলনকে যাঁরা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের দিকে নিয়ে যান, তিনি তাঁদের একজন। দ্রুত পরিবর্তিত এবং অনিশ্চিত সেই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে তিনি তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নানা পরিকল্পনা করেছেন, সেসব বাস্তবায়ন করেছেন এবং জনতাকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে গেছেন।