সামসুল হক জুয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর সাথে অভিমান করে এক সন্তানের জননীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর এলাকায় ঘটে। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের স্বপন দেবনাথ মাষ্টারের বোন চঞ্চলা দেবনাথ স্বামী মৃত্যুর পর একমাত্র কন্যা শ্রাবনীকে নিয়ে বিগত ১০ বছর পূর্বে স্বপরিবারে পিত্রালয়ে চলে আসেন। তিন বছর পূর্বে শ্রাবনী দেবনাথ (২৫) এর সাথে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামের মালশিয়া প্রবাসী লিটন দেবনাথের বিবাহ হয়। তাদের সংসারে সানড্রি দেবনাথ নামে ১৮ মাসের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শ্রাবণী দেবনাথ স্বামীর সাথে মালশিয়া থাকতো। কিছুদিন পূর্বে শ্রাবনী মালশিয়া থেকে দেশে আসেন।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শ্রাবনী মোবাইল ফোনে স্বামীর সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। ফোনে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হলে শ্রাবনী ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করেন। শ্রাবনীর মামা স্বপন দেবনাথ ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে শ্রাবনীর ঝুলন্ত নিথর দেহ নিচে নামিয়ে স্থাণীয় ডাক্তার এনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এসময় ডাক্তার শ্রাবনীকে মৃত ঘোষণা করেণ।
পরে পুলিশে খবর দিলে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহতের মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে নিহতের মামা স্বপন দেবনাথ বলেন, আমি একজন শিক্ষক। দুপুরে কিছু শিক্ষার্থী আমার কাছে পড়তে আসে। তাদের পড়ানো শেষ করে দুপুরে খাওয়ার সময় শ্রাবনীকে মোবাইল ফোনে স্বামীর সাথে কথা বলতে দেখি।একটু পরে আমার মেয়ে বলে, শ্রাবনী ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। সাথে সাথে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি শ্রাবনী ফ্যানের সাথে গলায় ফাস দিয়ে ঝুলে রয়েছে। দ্রুত তাকে নিচে নামিয়ে ডাক্তার এনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখি সে আর নেই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলাউদ্দিন বলেন, আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। থানায় লাশ নিয়ে আসা হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।