ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানাসংলগ্ন দুই নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে শনিবার জাতীয় পার্টির (জাপা) আয়োজিত ইফতার মাহফিল বাধার মুখে পড়েছে। দলটির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক ইফতার মাহফিলটি বন্ধ করে দেয়। এই ইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, “প্রথমে পুলিশ এসে কমিউনিটি সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ককে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর তত্ত্বাবধায়ক ফিরে আসেন, এরপর পুলিশ সেন্টারের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন যুবক এসে অশালীন স্লোগান দিয়ে ইফতার মাহফিলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং উপস্থিত নেতা-কর্মীদের গালাগাল দিয়ে সেন্টার থেকে বের করে দেয়।”
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তবে খবর শুনে তিনি গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে ফিরে যান।
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেছেন, “আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। জাতীয় পার্টির দুজন নেতা শহীদ হয়েছেন, অনেকেই মামলা ও হামলার শিকার হয়ে কারাবাস করেছেন। অথচ বর্তমান সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টিকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, পুলিশ সহযোগিতা না করে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণেও অনীহা প্রকাশ করেছে। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।”
জাতীয় পার্টি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দাবি করেছে যে, সরকার তাদের ওপর অবিচার ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।