শিরোনাম
তরুণ প্রজন্মের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম :আমিনুল হক   » «    থানায় লুট হওয়া অস্ত্রহ উদ্ধার   » «    জয়পুরহাটের কালায়ে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা   » «    মৌলভীবাজারে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য পুড়িয়েছে বিজিবি   » «    জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ৯ দফা, অন্যথায় কঠোর অন্দোলনের আল্টিমেটাম   » «   

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ১৭৮ জনের কারামুক্তি আজ

 

পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনায় বিষ্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিনের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ১৭৮ জন কারামুক্ত হতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন কারামুক্ত হয়ে স্বজনদের কাছে ফিরেছেন।

এদিন সকালে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারারের কারা ফটকের সামনে স্বজনদের ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এর আগে, গত সোমবার ১৬ বছর আগে পিলখানা ট্রাজেডির পর বিস্ফোরক মামলার আসামিদের জামিন দেন আদালত।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানরা সংস্থাটির সদর দফতর রাজধানীর পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তি।

এই বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনেই এর বিচার করে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিলো হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায়ও হয়ে যায়।

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছে। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সক্ষ্য উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * পিলখানা হত্যাকাণ্ড: ১৭৮ জনের কারামুক্তি আজ
সাম্প্রতিক সংবাদ