কুলাউড়ায় মাটি পাচার, অভিযান চালিয়ে ৩ ট্রাক আটক
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের দিলদারপুর চা-বাগান এলাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দিনরাত মাটি পাচার করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল আলম অভিযান চালিয়ে মাটি বোঝাই ৩টি ট্রাক আটক করেছেন। তবে অভিযানের সময় আরও ৩টি ট্রাক পালিয়ে যায়।
স্থানীয় মিটুপুর ও দিলদারপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,’ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্যর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র চা-বাগানের পাথরটিলা এলাকা থেকে মাটি তুলে বিক্রি করছে। প্রতিদিন ৮-১০টি ট্রাক দিনরাত মাটি পরিবহন করে। ধুলোবালির কারণে দিনের বেলা এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আর রাতে ট্রাকের শব্দে মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এসব মাটি শাপলা ব্রিক ফিল্ডে সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে’।
অবিরাম মাটি পরিবহনের কারণে দিলদারপুর থেকে আছুরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলজিইডি পাকা রাস্তা এবং সড়ক ও জনপদের দেড় কিলোমিটার রাস্তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাটির গুঁড়ায় রাস্তার অবস্থা আরও করুণ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলে রাস্তা যান চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে যাবে।
গ্রামবাসীরা জানান,’ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলন বৈদ্যের নিজস্ব মাটি কাটার যন্ত্র (এসকেভেটর) ও ট্রাক রয়েছে। তার ক্ষমতার প্রভাবে কেউ সাহস করে এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। মাটি কাটার ফলে শুধু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না, জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে এলাকাটি হুমকির মুখে পড়েছে’।
এ বিষয়ে মিলন বৈদ্য বলেন,’তিনি ব্যক্তিগত জমিতে ফিসারী করার জন্য মাটি খনন করছিলেন এবং কোনো মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন’।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল আলম জানান,’স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাটি বোঝাই ৩টি ট্রাক আটক করা হয়েছে। মালিক সনাক্ত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন,এ ধরনের অভিযানে এলাকাবাসীর সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ‘।
স্থানীয়দের মতে,’এই অভিযান কিছুটা হলেও রাস্তা ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তবে এলাকাবাসী মাটি পাচার বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন’।