ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু সোমবার তেল আভিভের আদালতে উপস্থিত হন, তাঁর দীর্ঘদিনের দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ আবার শুরু হয়েছে। তিনি তিনটি পৃথক মামলায় জালিয়াতি, বিশ্বাস ভঙ্গ, এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের মুখোমুখি। নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথম কোনো কর্মরত প্রধানমন্ত্রী, যিনি একটি অপরাধী আসামি হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি হলিউড প্রযোজক থেকে সিগার এবং শ্যাম্পেন গ্রহণ করেছেন, যার পরিবর্তে তিনি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক স্বার্থে সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেছেন যে তিনি মিডিয়া মোগুলদের জন্য সুবিধাজনক নিয়মনীতি প্রবর্তন করেছিলেন, যার বিনিময়ে তারা নেতানিয়াহু এবং তার পরিবারের জন্য সহানুভূতিশীল কভারেজ দিয়েছিল।
নেতানিয়াহু সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তিনি এগুলোকে মিথ্যা এবং একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা একটি শত্রু মিডিয়া এবং পক্ষপাতদুষ্ট আইনি ব্যবস্থা দ্বারা তার দীর্ঘকালীন শাসনকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে। এই তিনটি দুর্নীতি মামলা ২০১৯ সালে তাকে বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল এবং তার বিচার ২০২০ সালের মে মাসে শুরু হয়। এই সাক্ষ্যদান নেতানিয়াহুর জন্য আরেকটি কঠিন মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যিনি দেশটির দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে, রোববার রাতে ২,০০০ এরও বেশি মানুষ জেরুজালেমের রাস্তায় নেমে আসে যুদ্ধের অবসান এবং গাজার সকল আটক বন্দী মুক্তির দাবি জানিয়ে। প্রতিবাদকারীরা “আমরা সবাই বন্দী” লেখা সাইন বহন করছিল এবং একজন প্রতিবাদকারী নেতানিয়াহুকে একটি কারাবন্দী হিসেবে পরিধান করা মাস্ক পরে ছিল। সমালোচকরা নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন যে তিনি আদালতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য এবং ক্ষমতায় থাকতে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন।
ইসরায়েলি আইন অনুযায়ী, নেতানিয়াহুকে সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হবে না, যা এক প্রক্রিয়া হতে বেশ কিছু মাস সময় নেবে।