শিরোনাম
চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের মামলায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল গ্রেফতার   » «    বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইনে চা-শ্রমিকের লাশ   » «    ছোট হয়ে যাচ্ছে চরভদ্রাসন ও সদরপুরের মানচিত্র   » «    মানুষের লাশের উপর দিয়ে নির্বাচন করতে হবে : মনিরুল হক চৌধুরী   » «    পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ : ড.মোঃ কেরামত আলী   » «   

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালাবদ্ধ রাখার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের সিড্যা আমিন বাজারে এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেড়বছর তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আমিনের বিরুদ্ধে। বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালা খুলতে গিয়ে কয়েকবার বাধা ও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানান ভুক্তোভোগীরা।
এ ঘটনায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিড্যা আমিন বাজারে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি ফারুক হোসেন বাবুল ও তাঁর
পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বাবুল বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি। অবসরগ্রহণের টাকা দিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে সিড্যা আমিন বাজার দুইটি দোকান কিনেছি। দোকান কিনার পরে নামজারি করি। সকল কিছু বৈধ থাকার পরেও ডামুড্যা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আমিন দুই ভাই মিলে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জোর করে তারা আমার দোকান দেড় বছর যাবত তালাবদ্ধ করে রেখেছে। দোকানের তালা খুলতে গিয়ে কয়েকবার বাধা ও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেননি। আমি যেন দোকান খুলে বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারি বা ভাড়া দিতে পারি প্রশাসন ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এমনটা দাবি আমার।
ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাব্বি আমিন বলেন, ওই দোকান ঘরের ভিটা আমার দাদায় তাঁর বন্ধু মেছের আলী মৃধাকে দিয়েছিল। পরে মেছের আলীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা দিয়ে ফারুক হোসেন বাবুল দোকান কিনেছে। কিন্তু সেই দোকানের ভিতর আমাদের ২৭ পয়েন্ট জমি আছে। তাই দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আর তারা থানায় অভিযোগ করতে যাবে আমরা বাঁধা দেব কেন?
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিতভাবে আমাকে জানালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
সাম্প্রতিক সংবাদ