শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে ভারতীয় সূতা উদ্ধার করেছে পুলিশ   » «    “প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে অন্যান্য ক্যাডারের ৫০% অন্তর্ভুক্তির পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ”   » «    ‘ক্রিসমাস ডে’ কে কেন বড়দিন বলা হয়?   » «    সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ২৬ বাংলাদেশি পুরুষ ও নারী   » «    চাঁদপুরে জাহাজে খুনের ঘটনায় আটক ইরফান   » «   

জবি ছাত্রী হল কর্মকর্তা আনোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের একমাত্র কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হলের ক্যান্টিন ম্যানেজার রাফসান জানি রুবেল এই অভিযোগ তুলেছেন।

রুবেল অভিযোগ করে বলেন, “ক্যান্টিন চালাতে হলে আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। তার কথা মতো না চললে আমার টেন্ডার বাতিল করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।”

শুধু চাঁদাবাজিই নয়, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ, হুমকি দেওয়া এবং অনিয়মের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলের কর্মচারীদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান। ইতোমধ্যে চার কর্মচারীকে বদলি হতে বাধ্য করেছেন।

হলের এক শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তার কাছে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি হাউজ টিউটর বা প্রভোস্টদের বিষয়গুলো জানান না। আমরা একই সমস্যার জন্য বারবার আবেদন জমা দিয়েও সমাধান পাইনি।”

আনোয়ার হোসেনের অনিয়মের বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তার পদোন্নতি নিয়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তরে বদলি করা হয়েছিল। পরে তিনি আবার ছাত্রী হলের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কখনো এ ধরনের কাজ করিনি বা কোনো কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর সাথে অশোভন আচরণ করিনি।”

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * জবি ছাত্রী হল কর্মকর্তা আনোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
সাম্প্রতিক সংবাদ