সংবিধান থেকে “সেক্যুলারিজম” বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সমাজ। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ৭২ এর সংবিধানকে মুজিববাদী সংবিধান আখ্যা দিয়ে তার যথাযথ পরিমার্জনের দাবি তোলা হয়। এ সময় সংবিধান সংস্করণে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হল:
১। মুসলিম জনতার কথা বিবেচনা করে সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম থাকতে হবে।
২। রাষ্ট্রের অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলায় রাষ্ট্রের ভাষা যেমন বাংলা তেমনি অধিকাংশ জনগন (৯২%) মুসলমান হওয়ায় রাষ্ট্রের ধর্ম হবে ইসলাম।
৩। সংবিধানে ধর্মবিরোধী সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা থাকতে পারবে না।
৪। কুরআন ও সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন অনুচ্ছেদ, দফা, উপদফা সংবিধানে প্রবেশ করানো যাবেনা।।
৫। আল্লহসুবহানু ওয়াতাআলা ও নাফিলকৃত কুরআন সমবন্ধে অনুচ্ছেদ থাকতে হবে। কেউ ধর্ম বা কুরআন অবমাননা করলে স্বল্প সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্ত মূলক। শাস্তির বিধান স্পষ্ট থাকতে হবে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মহামানব রসূলে কারীম সাঃ) সমবন্ধে সংবিধানে অনুচ্ছেদ থাকবে, সেখানে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করলে স্বল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে।
৬। সংবিধানে অনুচ্ছেদ রেখে সকল শিক্ষা মাধ্যমের স্পষ্ট ব্যাখ্যা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন বৈষম্য না রেখে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করতে হবে।
৭। ফতোয়া ইসলামি আইন। সুতরাং ফতোয়ার অধিকার একমাত্র ফকিহ গণের। সুতরাং সংবিধানে অনুচ্ছেদ রেখে ফতোয়ার অধিকার আলেম ওলামদের প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সংবিধানের ধর্মীয় ব্যাখ্যা প্রদানে সুপ্রিম কোটের পাশাপাশি আলেম ওলামাদের বোর্ডের ভূমিকা লক্ষণীয় থাকা ইসলামী গুরুত্ব বহন করে।
৮। নবীজী (সাঃ) কে নবী না মেনে গোলাম আহমেদ কাদিয়ানিকে শেষ নবী মানায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় আর মুসলিম থাকতে পারেনা। সুতরাং মুসলিম কে বা কারা সে বিষয়ে স্পষ্ট সাংবিধানিক ব্যাখ্যা থাকা সময়ের জন্য একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এর আগেও সেক্যুলারিজম তথা ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে “আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সমাজ”।