বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলেন গত ৪ আগষ্ট শহীদ আহাদ এর আম্মার সাথে অপমানজনক কথা
মহম্মদপুর,মাগুরাঃ
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত ৪ আগষ্ট নিহত শহীদ আহাদের আম্মা পাখি খাতুন রবিবার ২৪-১১-২০২৪ ইং বেলা ১১টার সময় ইউএনও অফিসে পাখি খাতুন তার আর একটা ছেলের চাকরি নিয়ে ডিসি স্যার এর আশ্বাস দেওযার বিষয় নিয়ে জানতে যায়।
তিনি উপজেলা পরিষদ ভালো ভাবে না চেনার কারনে পাশের এক রুমে শহীদ আহাদ এর আম্মা পরিচয় দিয়ে সালাম দিয়ে শোনে ইউএনও স্যার এর রুম কোনটা? তখন সালাম এর উত্তর দেওয়া দূরে থাকুক তারে আরো বলেন আপনার ছেলেরে কি উঠানে শুয়ায়ে রেখে এসেছেন? না কি মাটি দিয়ে এসেছেন? আরো অনেক কথায় বলেন। পরে তিনি ওখান থেকে ফিরে এসে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধির কাছে বিষয়টি খুলে বলেন।
এঘটনা আহাদের আম্মা পাখি খাতুন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার নেতৃবৃন্দ-কে জানালে বিষয়টি ২৫-১১-২০২৪ ইং সোমবার উত্তেজনায় রুপ নেয়। অদ্য সোমবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বাংলোর সামনে জড়ো হয়। ইউএনও অসুস্থ থাকার কারনে তার বাংলো থেকে এসে গতকালের বিষয়টি অভিযোগ করলে, ইউএনও জনাব পলাশ মন্ডল ছাত্রদের আশ্বস্ত করেন- যদি ইউএনও অফিসের কেউ শহীদের মায়ের সাথে অপমানজনক কথা বলায় জড়িত থাকে, তদন্ত স্বাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে- মোঃ লিমন মিয়া, মোঃ মিঠু, মোঃ শওকত, মোঃ মামুন সহ আরো অনেকে। শহীদ আহাদ এর আম্মা জানায়ঃ- তার পরিচিত মাধ্যম দিয়ে তিনি পরিচয় বেরো করেন, অপমানজনক কথা বলেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি মোঃ হান্নান। উল্লেখ্য- মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলেন গত ৪ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহাদ শহীদ হন।