ইউপি সদস্য’র উপরে হামলার বিচার চেয়ে মানববন্ধন,ঝাড়ু ও জুতা মিছিল
তালতলী,বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীতে কবিরাজপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের গালিগালাজ-হুমকির প্রতিবাদ করায় নুরজাহান নামের এক ইউপি সদস্য ও তার স্বামী’র উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সোহাগ,আ.হক ও হারুন মোল্লাসহ তার লোক জনের বিরুদ্ধে। এই হামলার বিচারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর)বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কবিরাজপাড়া বাজারে এ মানববন্ধন করেন এলাকার প্রায় ৬ শতাধিক মানুষ। মানববন্ধন শেষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল বের করেন শত শত নারী-পুরুষরা। এসময় বক্তব্য দেয় বিভিন্ন সময়ে হারুন মোল্লা,সোহাগ ও আ. হকসহ তাদের সন্ত্রাসীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ।
জানা যায়,উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া বাজারের গিয়ে গত ১৭ নভেম্বর স্থানীয় প্রভাবশালী হারুন মোল্লা,ইউপি যুবদলের সদস্য সচিব মো.সোহাগ খান ও বিএনপি নেতা আ.হকসহ তাদের লোকজন ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করে গালাগাল করিতে থাকে ও হুমকি দিয়ে বলে চাঁদা না দিলে আজকের থেকে এই বাজারে কেউ দোকান খুলবে না। যদি কেউ দোকন খুলে তাহলে যারা যারা খুলবে সবার হাত-পা ভেঙ্গে ফেলা হবে। ভয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করেনি। পরে ব্যবসায়ীরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সদস্য নুরজাহান ও তার স্বামী বিএনপি নেতা মাসুদ রানা ঐ বাজারে গিয়ে হারুন মোল্লা,সোহাগ ও আ.হককে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় ব্যবসায়ীদের কাছে কেন চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন মোল্লা,সোহাগ ও আ.হকসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ইউপি সদস্য ও তার স্বামীকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ইউপি সদস্য ও তার স্বামী’র ওপরে হামলার বিচারের দাবিতে ঐ এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ প্রায় ৬ শতাধিক সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও ঝাড়ু-জুতা মিছিল করেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় আবু সালে,ফরিদ,ইসমাইল ও নজরুলসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন,আমাদের কাছে এসে হারুন মোল্লা,সোহাগ ও আ.হকসহ তাদের সন্ত্রাসীদের গত ৫ আগষ্টের পর থেকে চাঁদা দিয়ে আসছি। গত ১৭ নভেম্বর তারাই এসে চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দেয়। এই চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ রাখতে বলেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি তাদের কাছে জানতে চাইলে তাকেসহ তার স্বামীকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ, নৌ বাহিনী ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এই কারণে বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হককে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিক্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে। এই শহিদুল হকের কারণেই এই বাজারের ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। তারা আরও বলেন,ইউপি সদস্য’র ওপরে হামলার বিচারের দাবিতে ব্যবসায়ীরাসহ সাধারণ মানুষ মানববন্ধনের ঘোষনা দিলে এই হামলার দায় এড়াতে রাতেই সংবাদ সম্মেলন করেন হামলাকারীরা।
ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন,আমি ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে প্রতিবাদ করার আমি ও আমার স্বামীর ওপরে করেন।
তালতলী থানার ওসি কালাম খান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।