দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহীন হাওলাদার (৪৩) ওরফে কসাই শাহীন নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতশুক্রবার রাতে উপজেলার আনন্দ বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে কথিত ধর্ষক কসাই শাহীনকে গ্রেফতার করে শনিবার তাকে কোর্টে সোপর্দ্দ করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভারাটিয়া রহিম হাওলাদারের ছেলে পীরতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ি শাহীন হাওলাদার (৪৩) ওরফে কসাই শাহীনের সাথে একই উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর-ইসলাম সিকদারের কন্যা গার্মেন্টসকর্মী লামিলা বেগমের (২৩) একবছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই গার্মেন্টসকর্মীর পিত্রালয়সহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার রাতযাপন ও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। দূর্ত কসাই শাহিন ওইসময় তাদের অন্তরঙ্গমুহুর্তের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও করে নেয় যা কৌশলে লামিয়াও হস্তগত করে। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে লামিয়ার পিত্রালয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শাহীন কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়। ওইদিন বিয়ের জন্য বেশ চাপদিলে কসাই শাহীন অস্বীকার করে দ্রুত চলে যায় এবং সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত ২৮ফেব্রুয়ারি সকালে কসাই শাহীনকে খুঁজতে আনন্দবাজার এলাকায় গেলে কসাই শাহীন (৪৩), তার স্ত্রী শারমিন (৩০) ও ছেলে মিয়াদ (১৮) মিলে গার্মেন্টসকর্মী লামিয়াকে বেধরক পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এসময় ওই গার্মেন্টসকর্মীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা পাসপাতালে পাঠায়। উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এব্যাপারে ধর্ষণের শিকার লামিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত শাহীনসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও নারী নির্যাতন আইনে দুমকি থানায় একটি মামলা (মামলা নং ১/২ ফেব্রুয়ারী২৫ ধারা নাশিনি ৯(১)/ ৩২৩ও ৫০৬ পেনালকোড) দায়ের করেন।ওই মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক কসাই শাহীনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ তাকে কোর্টে চালান দেয়।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকির হোসেন মামলার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত আসামীকে কোর্টে চালান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ।