এস এম আব্দুল্লাহ সউদ
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় পবিত্র মাহে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে এক বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে এই মিছিলটি উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে পৌর সদরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ মুনছুর রহমানের নেতৃত্বে আয়োজিত এই মিছিলে দলটির নেতাকর্মীরা বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ হাসিবুল আলম লিটন। এছাড়াও বক্তব্য দেন উপজেলা নায়েব আমীর মোঃ তাইফুল ইসলাম ফিতা, উপজেলা জামায়াত নেতা মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ মোজাফফর হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা মাহে রমযানের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুসলমানদের এই মাসের তাৎপর্য বোঝা এবং সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। তারা রমযান মাসে বেশি বেশি ইবাদত, সাদাকাহ ও দান-খয়রাত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, মাহে রমযান মুসলমানদের জন্য সংযম ও আত্মগঠনের মাস। এই মাসে ইসলামের শিক্ষা মেনে চলার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত ও দরিদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো.মুনছুর রহমান বলেন,“রমযান শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে ইসলামের মূল শিক্ষা অনুসরণ করে আমাদের ব্যক্তি ও সমাজজীবন গঠনের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। এক মাসের সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে আমরা যেন সারা বছর তাকওয়াভিত্তিক জীবনযাপন করতে পারি, সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। আসুন, মাহে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের জীবনে সত্য, ন্যায় ও মানবতার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করি।”
জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো.হাসিবুল আলম লিটন বলেন,”মাহেরমযানআত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়াঅর্জনেরমাস। এইমাসেআমাদেরউচিতবেশিবেশিইবাদতকরা, পবিত্রকুরআনেরতেলাওয়াতকরাএবংদান-সাদাকাহবাড়ানো। ইসলামশান্তি, ন্যায় ও মানবতারধর্ম। রমযানেরশিক্ষাআমাদেরকেপরস্পরেরপ্রতিদায়িত্বশীলহতেশেখায়। আসুন, আমরা সবাই রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করি এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকি।”
মিছিল ও সমাবেশকে ঘিরে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। মাহে রমযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।