বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া একটি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের জানানো মতে, এই নিম্নচাপের কারণে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাসের শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়া বইতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কৃষিকাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় পরিণত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।