গ্ণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সিলেটের জাফলং থেকে নির্বিচারে চলছে পাথর লুট

 

গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে নির্বিচার পাথর লুট চলছে। এমনকি প্রকাশ্যে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালুও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটের সব কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। তখনো রাতের আঁধারে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। প্রশাসনের তথ্যমতে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই সপ্তাহে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি ও জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে অন্তত ১৪০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে।

প্রশাসনের ‘ঢিলেঢালা’ নজরদারির কারণে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে নির্বিচারে পাথর লুট চলছে। কোয়ারিসংলগ্ন নদ–নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। এতে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতার পৃষ্ঠপোষকতা আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসনের তথ্যমতে, সরকার পতনের পর দুই সপ্তাহে দুটি কোয়ারি থেকে অন্তত ১৪০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। দুটি কোয়ারি থেকে এখনো রাতের বেলা পাথর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দিনে প্রকাশ্যে বালু লুট চলছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেয় সরকার। এর পর থেকে রাতের আঁধারে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, পটপরিবর্তনের পর বেশ কিছুদিন নির্লিপ্ত ছিল স্থানীয় প্রশাসন। তখন জাফলং ও ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে রীতিমতো পাথর গণলুট হয়েছে। এখনো দিনের বেলা বালু ও পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু প্রশাসন এতটা তৎপর নয়। অথচ পরিবেশ ও জনজীবন রক্ষায় পাথর-বালু উত্তোলন থামানো উচিত। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের কারণে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোয়ারিতে ১০৬ শ্রমিক মারা গেছেন বলেও বেলার স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

সুত্র: প্রথম আলো

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * গ্ণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সিলেটের জাফলং থেকে নির্বিচারে চলছে পাথর লুট
সর্বশেষ সংবাদ