মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মুক্তাগাছায় সরকারি সড়কের জমি রেখে ব্যাক্তিগত জমির ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণের অভিযোগ
পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের চিত্র চলে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সড়ক কর্তৃপক্ষ
বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের রৌয়ারচর গ্রামের রঘুনাথপুর উচ্চ
বিদ্যালয় হতে ৭শ মিটার এলজিইডি রাস্তা নির্মাণাধীণ রয়েছে। বিদ্যালয় হতে পশ্চিম দিকে
শহিদ মাস্টার বাড়ির বসত বাড়ী ও পুকুরের উত্তর সাইট দিয়ে রাস্তাটি পশ্চিম দিকে চলে গেছে।
স্থাণীয় সুরুজ আলী সাড়ে ৯ ফুট, মো: চাঁন মিয়া- ৯ ফুট, হযরত আলী ৬ ফুট, আনছর আলী ২
ফুট, আবেদ আলী ৫ ফুট ও জামাল উদ্দীন ২ফুট সরকারি রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করে আছে।
অভিযোগকারী মো. শহীদুজ্জামান মাস্টার বলেন, রাস্তাটির জমি সরকারি তাই প্রশাসনকে
জানানোর প্রয়োজন মনে হয়নি।
নির্মাণাধীন রাস্তাটির বক্স কাটিং করার সময় ঠিকাদারের
লোকজন হঠাৎ করে আমার বসত ভিটা ও পুকুর পাড়ের অংশ কেটে ফেলে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য
লোকজনকে ডেকে জরিপকারী দিয়ে জমি মাপার ব্যবস্থা করে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার
চেষ্টা করি। তারা বিষয়টির সুরাহা না মেনে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী
অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করতে বললে
আবেদন জমা করি।
অভিযোগকারী আরো জানান, তার বাড়ীর উত্তর পাশে ইছব আলী, নায়েব আলী, সাহেব আলী
সরকারি রাস্তায় ঘরের সিঁড়ি নির্মান করে ও গাছপালা রোপন করে সড়কের জমি বেখল করে
রয়েছে। এতে করে সরকারি নকশা অনুযায়ী সরকারী ভূমি উদ্ধার না করে রাস্তাটির নির্মাণ করা
হলে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ শতক জমির বসত ভিটা ও পুকুরের জমি বেহাত হলে ক্ষতির সম্মূখীন
হবো। অপরদিকে সরকারি সড়কের জমি জবরদখলকারী জহিরুল ইসলাম গং লাভবান হয়ে সরকারি জমি
ভোগ দখলের সুযোগ পেয়ে যাবে।
দখলকারী জহিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করতেই তারা এ
মিথ্যাচার করছে। নিজেদের সম্পদেই ঘর রয়েছে। যাকে দিয়ে জমি মেপেছে তা মনগড়া ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা
এডজিস্টিং যে রাস্তা আছে সে রাস্তা দিয়ে কাজ করি। নকশার বাইরে বা কারো জমি নেবার
সুযোগ নাই। ৩-৪ বার গিয়েছিলাম। দু গ্রæপেরই সমস্যা । স্থানীয়রা বসে যদি মিমাংশা করে
তাহলে আমরা ঐভাবেই যাবো।