সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মো. নুরুল হক
পারিবারিক কবরস্থান দেখিয়া বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন
করে কাজ না করিয়ে সবগুলো আত্মসাৎ করায় জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জ বরাবরে অভিযোগ
দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার(২৬ ফেব্রæয়ারী) সকালে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগটি দায়ের
করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও সংবাদকর্মী আবু সাঈদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে ২০২৩-
২৪ অর্থবছরে সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের সংরক্ষিত এলাকায় গ্রামীন অবকাঠামো
রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর) কর্মসূচীর আওতায় নির্বাচনী এলাকায় ২য় পর্যায়ের অধীনে লালপুর
গ্রামে আনসার উদ্দিনের পারিবারিক কবরস্থানের নাম দিয়ে কবরস্থানের মাটি কাটার জন্য
১০০০০০/= (এক লক্ষ) টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। কিন্তু পারিবারিক কবরস্থান নামে
একটি প্রকল্প তৈরি করলেও উক্ত প্রকল্পের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই কমিটির সভাপতি
মোঃ নুরুল হক একজন আওয়ামীলীগের দোসর ছিলেন।
বিগত সময়ে শান্তিগঞ্জে হাবিল-
কাবিল নামে খ্যাত সিন্ডিকেট বাহিনীর সাথে তার ছিল ছিল গভীর সখ্যতা।
পিআইসি,টিআর,কাবিটাসহ যতগুলো প্রকল্প তৈরি হতো সবগুলোর সাথে ছিল নুরুলের
সম্পর্ক। সাংবাদিকতার পেশাকে পূজি করে এবং সর্বক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে
প্রকল্পগুলোতে নিজের ফায়দা হাসিল করত। সে এই কবরস্থান প্রকল্পে নুরুল নিজেকে সভাপতি
এবং তার আপন ভাই আনসার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রকল্প
বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন তার আপন ভাই সাধারণ
সম্পাদক আনসার উদ্দিনের সহধর্মিনী মাহবুবা বেগম এবং আনসার উদ্দিনের ছেলে
মমিনুল হকসহ আরেক ভাই তেরা মিয়াকে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করে কমিটি জমা দিয়ে উক্ত
প্রকল্পের মাটির কাটার নামে একলাখ টাকা উত্তোলন করে কাজ না করিয়ে নিজেই সবগুলো
টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগকারী মানবাধিকার কর্মী আবু সাঈদ জানান, নুরুল হক বিগত ফ্যাসিস্ট
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হাবিল কাবিলের ছত্রছায়ায় নামে-বেনামে প্রকল্প হাতিয়ে
নিয়েছে এবং পাকা ও দালান বাড়ী তৈরী করেছে। তার কোন আয়ের উৎস না থাকালেও সে
শান্তিগঞ্জ এলাকায় বাসার মালিক, জমিরও মালিক এবং স্বপরিবারে সিলেটে বসবাস করে।
সে অল্প দিনেই আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়েছে।
সিলেটের ডাকের প্রতিনিধি নুরুল হকের মোবাইল ফোনে( ০১৭১৯-২৯৮৮৯০) এই নম্বরে কল
দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে রং নম্বর বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান,অভিযোগের
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুলেন্দু শেখর দাস