শিরোনাম
পলাশ বাজারে সিলেট বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের বিশেষ অভিযানে ইয়াবাসহ ২ জন আটক   » «    রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ   » «    বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ কাঠামো পাচ্ছে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ   » «    হুন্ডি ও ভুয়া লেনদেন: প্রবাসী পরিচালকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন   » «    দুমকিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন   » «   

বাউফলে ১১ সদস্যের একটি ভূমিহীন পরিবার পলেথিন ছাপড়ায় জীবনযাপন

 

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর বাউফলে ধানদী গ্রামে পারভীন বেগম ১১ সদস্য পরিবার নিয়ে পলেথিন ছাপড়ায়  জীবন যাপন করেছেন। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধান্দী গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ড বসতী তার ধান্দী বাজার দক্ষিন দিকে কালাইয়া-ধান্দী পাকা সড়ক তেতুঁলিয়া নদীর কুলে পানির ডোবার মধ্যে পলেথিন ছাপড়া চারদিকে হোগল পাতা বেড়া নিচে কাঠের তক্তার পাটাতন। স্বামী, স্ত্রী, ছেলে ছেলে বউ এবং নাত-নাতনী নিয়ে একই ছেড়া কাথায় রাত কাটাচ্ছেন।

২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে সরেজমিন ধান্দী গ্রামে গেলে প্রতিনিধিকে নিয়ে পারভীন তার পরিবারকে নদীর কুলে নিয়ে যায়। হাতের ইশারা দিয়ে দেখান তার আগের বসতবাড়ী যা নদীর মধ্যে লঞ্চ নৌকা চলাচল করছে। নদী বিলীন দেখিয়ে বারবার দাবী করেন একটি টুকরো জমির।

বজলু হাওলাদার সাথে আলাপ চারিতায় জানা যায়, চার বছর আগে তেতুলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যায় ৩০ শতক বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে নাত-নাতনী নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। খোজ নিয়ে জানা যায়, পারভীন বসতবাড়ি তেতুঁলিয়া নদীতে বিলীন হওয়ার পরে চর রায়সাহেব আদর্শগ্রামে একটি থাকার ঘর পেলেও ওই এলাকায় কাজের সংকট দেখা দেয়। ওই চরে যেখানে যায় সেখানে কাজের বাঁধা। আদর্শ গ্রামে ২ মাস থাকার পরে কাজ না পেয়ে নিজ ধানদী গ্রামে আসতে বাধ্য হয়।

স্পিড ট্রাস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সালমা বেগম বলেন,স্টার ফর হারল্যান্ড ক্যাম্পেইন প্রকল্পের ভূমিহীন দলের একজন সদস্য। ভূমিহীন দলের মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে ভূমিহীন সনদ গ্রহন করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সচেতনতামূলক সভায় খাসজমি দাবি করেন। এ সময় ওই সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভ’মি) প্রতীক কুমার কুন্ডু জানান বর্তমান খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান বন্ধ তবে গুছ্গ্রামে বন্দোবস্ত প্রদান রয়েছে।

নাজিরপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সহিদুল আলম জানান, ধান্দী গ্রামের মধ্য সবচেয়ে হচ্ছে বজলু হাওয়ালাদার ও পারভীন পরিবার। বর্তমানে তেতুঁলিয়া নদীর পাড়ে ডোবার মধ্য ডেড়াবাধ দিয়ে জীবন যাপন করেছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
সাম্প্রতিক সংবাদ