ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা মেহেরুন্নেসা শাহি-এর ঝুলন্ত মরদেহ
উদ্ধারের ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার মকসুদ টাওয়ারের ৮ তলার একটি কক্ষ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মেয়ে আনিকার স্বপ্ন ছিল জজ হওয়া এবং ছোটদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা। অনার্সে ঢাবিতে পড়লেও আইন বিষয়ে মাস্টার্স করার ইচ্ছা ছিল তার।
তিনি কোটাবিরোধী আন্দোলনে সম্মুখ সারির কর্মী ছিলেন। জয়পুরহাটে গিয়ে মাইক হাতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তার মৃত্যুর খবরে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শতবর্ষী দাদা সোলাইমান আলী মণ্ডল হতভম্ব, ফুপু আক্তার বানুর কান্না থামছে না। স্বজনরা বলছেন, এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা, সেটির প্রকৃত তদন্ত প্রয়োজন।
পরিবারের দাবি, আনিকা কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এছাড়া ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই মৃত্যুকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে বলে প্রত্যাশা সকলের।