রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মো. ইকবাল (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ:
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইকবাল পেশায় গাড়িচালক ছিলেন এবং তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে।
নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ:
ইকবালের স্ত্রী কুলসুম জানান, তার স্বামী বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী উজ্জলসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
“আমি জানি না, কার সঙ্গে তার কী বিরোধ ছিল। তবে উজ্জল ও তার দল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত। আমরা ন্যায়বিচার চাই,” বলেন কুলসুম।
পুলিশের তদন্ত ও অবস্থান:
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ফোন ধরেননি। তবে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, যাত্রাবাড়ী থানাধীন দুটি ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে।
উজ্জল চক্রের অপরাধ কর্মকাণ্ড:
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উজ্জল ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা এবং ভয়ভীতি দেখানোর মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তবে তারা বারবার আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “উজ্জল প্রায়ই মানুষকে ভয়ভীতি দেখায়, টাকা দাবি করে। ইকবাল ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে বিরোধ হয়েছিল জানি না, তবে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা উচিত।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপ:
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর অবস্থান নেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।