নেত্রকোণা প্রতিনিধি ঃ
আমি মদনের মাটিতে জীবিত ফিরে আসতে পারবো তা কখনো ভাবতেও পারিনি। আল্লাহর রহমত ও আপনাদের দোয়ায় আমি নিজ বাড়িতে আসতে পেরেছি। এ জন্য আল্লাহ নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। আমি আরও কৃজ্ঞতা জানাচ্ছি সেই সব মা বোনদের প্রতি যারা আমার মুক্তি জন্য রোজা রেখে আল্লাহর নিকট দোয়া করেছে।
দীর্ঘ দেড় যুগ পর মৃত্যু দোয়ার থেকে ফিরে তিন দিনের সফরে রবিবার মদন উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছে আবেগআপ্লোত হয়ে এসব কথা বলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বিগত ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে,লোভ দেখিয়ছে তবুও সৎ পথে থেকেছি। তাই কয়েকটি সাজানো মিথ্যা মামলার রায়ে ফাঁসি সহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়েছে আমাকে। দীর্ঘ ১৭ বছর আমি কারান্তরিন ছিলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ২০২৪ জুলাই বিপ্লবে গত ৫ই আগস্ট কুখ্যাত খুনি দেশ ছেড়ে পরায়নকারী হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তরবর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর হাইকোর্টে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। সকল মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছি। গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানিগঞ্জ) থেকে মুক্তি পেয়েছি ওমরা হজ্জ করে সিংগাপুর চিকিৎসা শেষে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদেরকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। এসময় নিজ এলাকার বিএনপির নেতাকর্মী সহ হাজার হাজার নারী পুরুষ ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেয়। সোমবার তিনি হাওর উপজেলা খালিয়াজুরি লাখ মানুষের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদেন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে থেকে রওনা হয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলায় গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করে ঢাকা ফিরে যাবে লুৎফুজ্জামান বাবর।
তাঁর মুক্তি পরপরি নিজ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন রাস্তা, হাট বাজারে নির্মাণ কারা হয়েছে বিভিন্ন রং তোরণ। যা এখনো শোভা পাচ্ছে।
তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানে শীষ প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা -৪ আসন থেকে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নিবার্চিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রী সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বার বার জনগনের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।