শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি-
নীলফামারীর জলঢাকায় প্রবিত্রী দেবনাথ (৩০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী-শ্বশুর পলাতক রয়েছেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের খেড়কাটি বাজার এলাকার নাথ পাড়ায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবিত্রী দেবনাথ জলঢাকা উপজেলা পৌরসভার বাসিন্দা সুদিন দেবনাথের মেয়ে। স্বামী পরিমল দেবনাথ (৩৪) ওই এলাকার বিজয় দেবনাথের ছেলে। ঘটনার পর থেকে পরিমল দেবনাথ ও তার বাবা বিজয় দেবনাথ পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। তবে গত তিন দিন ধরে পপি রানীকে নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হচ্ছিল। একাদশীর উপবাসে থাকা অবস্থায় তাকে নৃশংস ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে যখন দেখা যায় পপি মৃত্যুর দুয়ারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে, তখন তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। পরে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করার জন্য তাকে রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নাটক সাজানো হয়। তবে সবকিছুই ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
ধর্মপাল ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য মো. ইউনুস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত তিন দিন আগে তার বাবার বাড়ি থেকে এখানে আসেন। তখন থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। তবে পারিবারিক কলহের কারণে যদি এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে, তাহলে দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।’
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হলেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’