যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও জাপানসহ একাধিক দেশের নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন, তবে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
জার্মান প্রেসিডেন্টের মন্তব্য
জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, “রাশিয়া হয়তো হোয়াইট হাউসে সমর্থন পেতে পারে, কিন্তু তারা এক ইঞ্চি বৈধতাও অর্জন করতে পারেনি।”
ইউক্রেনকে আরও সমর্থনের আহ্বান
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন বলেন, “আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের গতি বাড়াতে হবে,” উল্লেখ করে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধকে ইউরোপের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে বর্ণনা করেন।
জাতিসংঘে ইউক্রেন প্রশ্নে বিভক্তি
সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ইউক্রেন যুদ্ধের বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যা ইউক্রেনের “সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, সংহতি ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি প্রতিশ্রুতি” পুনর্ব্যক্ত করে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং নিজস্ব একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যেখানে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার কোনো উল্লেখ ছিল না এবং রাশিয়ার আক্রমণকে “সংঘাত” হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৬তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ রাশিয়ার অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি এবং তথাকথিত “ছায়া নৌবহর” লক্ষ্য করে, যা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত হয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
- যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিক্সের ওপর কেন্দ্রীভূত। এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যিনি রাশিয়ায় ১১,০০০ এর বেশি সেনা পাঠানোর জন্য দায়ী বলে অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং ইউক্রেনকে নিয়ে তাদের নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান যুদ্ধের কূটনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।