পাইকগাছা প্রতিনিধি।
পাইকগাছায় লতার নড়া নদী’র (জলমহাল-২) দখল স্বত্ত্ব নিয়ে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি দাবি করেছেন এবং এনিয়ে একে অপরকে এমনকি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জড়িয়ে অপপ্রচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, মৌসুমের পুর্বে লতার হানি-মুনকিয়া মৌজার ৬৫ বিঘার আলোচিত নড়া নদী (দ্বিতীয় খন্ডের) সরকারি জলমহালের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ইতোপুর্বে জলমহালের দখল ও পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটে। সুত্র জানায়, এরই মধ্যে ৬,২৫ একরের সরকারি জলাশয়ে চিংড়ি ঘের করতে সোনারতরী মৎস্যজীবী সমিতি পার্টনারশিপে স্থানীয় আবু তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল চুক্তিবদ্ধ হলেও সেটা অবৈধ ও মিথ্যা বলছেন প্রতিপক্ষরা।
জলমহালে দখলে থাকা দীপঙ্কর ঢালী জানান,আমি ডিডমূলে বিভিন্ন জনের ৩২ বিঘা মালিকানা জমি ও পার্টনারশিপে এফসিডিআইভুক্ত পানিউন্নয়ন বোর্ডের ১৭ বিঘা মোট ৬২ বিঘা জমিতে বাঁধবন্ধি করে মৌসুমের শুরুতে পোনা মাছ ছেড়ে ভোগদখলে আছি। তিনি অভিযোগ করেণ স্থানীয় কিছু ব্যক্তি পুর্বের ন্যায় ক্ষমতা বলে কথিত ইজারা চুক্তির কথা বলে জলমহালটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সরোজিৎ ঘোষ দেবেনের নামে অসত্য অভিযোগ এনে অপপ্রচার করছে।
কিন্তু প্রতিপক্ষ মীর রুবেল তথ্যদেন, আমরা রেকর্ডিয় মালিক বিধান মালীর ৮৬ শতক,সোহরার হোসেনের ৬৬শতক ও তালার এক ইউপি চেয়ারম্যানের ৬৬ শতক,এফসিডিআইভুক্ত জমিসহ স্থানীয় আরোও অনেক মানুষ এক সঙ্গে ঘের করছি।
তবে সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান,বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে ক্ষমতার পালাবদল হলে বিভিন্ন লোকেরা জলমহালটি ভোগদখল করতেন। শুনেছি ডিডমূলে বর্তমানে দীপঙ্কর- জাহাঙ্গীর গংরা ভোগ দখলে আছেন।
পুর্বে এ জলমহালটি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবেক এমপি বাবুর ঘনিষ্ট শওকত হাওলাদার বিশ্ব মেম্বর গংদের নিকট থেকে ডিড নিয়ে ঘের করতেন। ৫ আগস্টের পর অন্যরা দখলে ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সরোজিৎ ঘোষ দেবেন জানান,আমার নামে মনগড়া- অসত্য অভিযোগ এবং অপপ্রচার করে প্রতিপক্ষ তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল গংরা ফাঁয়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
শাহরিয়ার কবির,