শরীয়তপুর ইফা’র আয়োজনে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ মে বুধবার জেলা মডেল মসজিদ হল রুমে শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ আবু তালহা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বক্তব্যের শুরুতে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান যে, তিনি সারা বাংলাদেশে এত সুন্দর ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। যেখানে বসে আমরা এই ইমাম সম্মেলন এবং আলোচনা সভা করতে পারছি। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতে চান। এজন্য তিনি সকল ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন আলেমরাই সমাজে প্রকৃত নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। জুমার নামাজে গেলে আমরা সবাই তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি। সাধারণ মানুষ ও তাদের কথা শোনে।
একজন সন্ত্রাসী মাদক সেবী অথবা তাদের কারো সন্তানও যদি এইসব সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকেন মসজিদে গিয়ে আপনাদের কথা শুনে আর আপনারা যদি ইসলামের দৃষ্টিতে এবং কোরআন ও হাদিসের আলোকে মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ইত্যাদির কুফল সম্পর্কে ওয়াজ নসিহত করেন তাহলে তাদের মধ্যে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।এবং যুব সমাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। তাই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদক নিরসনে আলেম সমাজের ভূমিকা অপরিসীম । তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন তিনি সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছেন। এই পেনশন স্কিনে অংশগ্রহণ করলে শেষ বয়সে যখন কোন কর্ম করতে পারবেন না তখন ঘরে বসে এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তিনি বলেন এই সর্বজনীন স্কিম এখন আমরা না বুঝলেও যখন এর সুবিধা পাব তখন আমরা ঠিকই প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করব। তিনি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন জয় বাংলা।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন কৃষিবিদ ডঃ মুহাম্মদ আবু তালহা, সভাপতি মহোদয় উপস্থিত সকলকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন ইসলামে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানুষকে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব শেখায়। যে মানুষ সন্ত্রাসী, মাদক সেবী, খুন- রাহাজানি ইত্যাদি কাজের সাথে জড়িত সেই মানুষটিই যদি ইসলামের ছায়াতলে আসে সে সোনার মানুষের পরিণত হয়। তিনি বলেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) সেই সব মানুষকে শ্রেষ্ঠ মানুষের পরিণত করেছেন এক সময় যারা মারামারি কাটাকাটি খুন রাহাজানি ইত্যাদি কাজে লিপ্ত ছিল। তিনি বলেন তাই আসুন আমরা আমাদের নিজ নিজ অবস্থান কাজে লাগিয়ে মসজিদের জুমার খুতবায় আলোচনা করে একটি সুশৃংখল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আবু সাঈদ। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন আমরা যার যার অবস্থানে থেকে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদক মোকাবেলায় কাজ করব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মো: আব্দুর রাজ্জাক সরদার, ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শরীয়তপুর জেলা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের এবং বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তা বৃন্দ এবং শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন মসজিদের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম সাহেবগন।