গৃহবধূকে ধর্ষণ ও চাঁদা দাবি: ৩ জনকে আটক করেছে পিবিআই যশোর
বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শা উপজেেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর।
এই ঘটনায় ভুক্তোভুগী নারী শার্শা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার (২৯এপ্রিল) আটক তিনজনকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামিরা এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ জবাবন্দি গ্রহণ শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
তারা হলো, শার্শা উপজেলার তরিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম ৩২, আজগর আলীর ছেলে মোরশেদ আলম শান্ত ওরফে ইমদাদুল ৩৩ ও মতিয়ার রহমানের ছেলে রিফাদ হোসেন ৩৫ পিবিআই’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, শার্শার এক নারী যশোর পিবিআই কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী একজন ট্রাক চালক। মাসের অধিকাংশ দিন তিনি বাইরে থাকেন। এ সুযোগে তার সম্পর্কে দেবর ইমরান হোসেন তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে গত ১০ জানুয়ারি ২৪ গভীর রাতে ইমরান তার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আসামিরা ওই নারীর সাথে আবারও শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর আসামিদের কাছে থাকা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা করে। নিরুপায় হয়ে ওই নারী যশোর পিবিআই অফিসে এই অভিযোগ দেন।
অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত রোববার (২৮এপ্রিল,২৪) দিবাগত রাতে শার্শায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক তিনজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রতন মিয়া তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করেন। তিনজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকা এবং তাদের সহযোগি অন্যদের নাম উল্লেখ করে আদালতে এই জবানবন্দি দিয়েছে।