যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড হায়দার আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
একে একে আবাসিক হল, বিভাগ সমূহ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন শহিদের শ্রদ্ধা জানায়।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ইতিহাসের একটি বিরল অংশ ভাষার জন্য জীবন দেওয়া। প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের করাল থাবায় আমাদের মত প্রকাশ করতে পারি নাই। ছাত্রদের মাধ্যমে আবারও আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি ওখানে জীবন দিয়েছেন শহিদ আবদুল কাইয়ূমসহ অনেকে। আমাদের আবার নিজেকে গড়তে শপথ নিতে হবে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে জুলাই পর্যন্ত যারা জীবন দিয়েছেন তারা তখন সফল হবে যখন আমরা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন‚ এ জাতিই পৃথিবীতে একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। যারা এ মহান দিনটিকে পাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছে আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এ মাটিতে অনেক সময় অনেক মানুষ রক্ত দিয়েছে। ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, ৭১ এ রক্ত দিয়েছে, সর্বশেষে ২৪ এ জুলাই বিপ্লবে রক্ত দিয়েছে। মূল উদ্দেশ্য একটাই যে এদেশের শাসকেরা শোষক না হয়ে জনহিতকর গভর্ন্যান্স গড়ে তুলক। জনহিতকর সরকার গঠিত হয় না বলেই বারবার করে রক্ত ঝড়াতে হচ্ছে। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের এ পথে ফিরে আসতে হবে। বৈষম্যবিহীন, শোষণবিহীন সমাজ তৈরির পথে আসতে হবে। আদালত, সরকারি চাকুরি ক্ষেত্র যখন বৈষম্যমুক্ত হবে তখনই জুলাইয়ের শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। এজন্য আমাদের সবার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দায়িত্বগুলো পালন করতে হবে। আমি আবারও ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।