দোল, পূর্ণিমা ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেনাপোলে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমার সোমবার (২৫ মার্চ) ও বাংলাদেশে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। সোমবার ওপারে সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে আবারও এ পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চলবে বলে দু‘পাড়ের বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান ও ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা একটি বৈঞব উৎসব। বসন্তের এই উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসাবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কাজকর্মের সাথে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। ফলে সোমবার এবং মঙ্গলবার বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এ পথে কোনো আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে না। বুধবার সকাল থেকে পুরোদমে আবারো চলবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ^াস জানান, এ পথে দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ভারতে হোলি উৎসবের ও বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবসে ছুটিতে সোম ও মঙ্গলবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে সোমবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে কার্যক্রম চলবে। পণ্য খালাস করতে আসা ভারতীয় খালি ট্রাকগুলো ওপারে ফেরত যেতে কোন বাধা নেই। বুধবার সকাল থেকে আবার এ পথে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য চলবে বলে তিনি জানান।