তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ওভারে ২২৮ রান সংগ্রহ করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি হৃদয়ের প্রথম শতক, যা দলকে শক্ত ভিত্তি গড়ে দিতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শুরুটা ভালো না হলেও, হৃদয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তা দলকে প্রতিকূল অবস্থা থেকে টেনে তুলতে সাহায্য করেছে। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর তিনি ঠান্ডা মাথায় ইনিংস গড়ে তোলেন এবং একপ্রান্ত ধরে রেখে দলের রান বাড়াতে থাকেন।
এই ইনিংসে হৃদয় ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন এবং একাধিক চারের পাশাপাশি কয়েকটি বড় ছক্কাও হাঁকান। তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর ক্রিকেট বিশ্লেষকরা হৃদয়ের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন এবং ভবিষ্যতে তাকে দলের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখার আশা প্রকাশ করেছেন। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশের বোলাররা ২২৮ রানের এই সংগ্রহকে রক্ষা করতে পারেন কিনা।
মোহাম্মদ শামির করা ৪৯তম ওভারের প্রথম বলটি অফসাইডে ঠেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তৌহিদ হৃদয়। এক হাতে হেলমেট ও অন্য হাতে ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপনের পর সেজদায় লুটিয়ে শুকরিয়া আদায় করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার পথটা সহজ ছিল না তার জন্য। ইনিংসের শুরু থেকেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। দল যখন চাপের মুখে, তখনই ব্যাট হাতে দলের হাল ধরেন হৃদয়। তবে চ্যালেঞ্জ শুধু প্রতিপক্ষের বোলারদের সঙ্গেই ছিল না, নিজের শরীরের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে তাকে। দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করার কারণে ম্যাচের মাঝপথে মাসল ক্র্যাম্পে ভুগতে থাকেন তিনি। কিন্তু দমে যাননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই ক্রিকেটার।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে প্রায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে যখন তিনি আউট হন, তখন তার নামের পাশে ১০০ রান। ১১৮ বলের এই ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কা। হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ২২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
ভারতের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। এই ম্যাচেই ওয়ানডেতে নিজের ২০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তিনি একাই ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া আরেক পেসার হার্ষিত রানা ৩টি এবং অক্ষর প্যাটেল ২টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের ইনিংস হৃদয়ের দুর্দান্ত লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকলেও, এই সংগ্রহ ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।