ফিলিস্তিন বিক্রির জন্য নয় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। বুধবার পশ্চিম তীরের মধ্যাঞ্চলীয় রামাল্লায় ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথার পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত শনিবার আদ্দিস আবাবায় শেষ হওয়া আফ্রিকান ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, তিনি ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
‘ফিলিস্তিন বিক্রির জন্য নয়’ জোর দিয়ে তিনি বলেন, গাজা, পশ্চিম তীর বা জেরুজালেমসহ তার ভূখণ্ডের কোনো অংশই ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে ফিলিস্তিনের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফিলিস্তিনি ইস্যুর যেকোনো রাজনৈতিক সমাধানের ভিত্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক বৈধতা এবং আরব শান্তি উদ্যোগ মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন আব্বাস।
বৈরুতে ২০০২ সালের আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত আরব শান্তি উদ্যোগ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের মধ্যে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বীকৃত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়, বিনিময়ে আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস। যেখানে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো প্রচেষ্টার প্রতি তার দেশের দৃঢ় প্রত্যাখ্যান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গাজার পুনর্গঠনকে অবশ্যই ব্যাপক শান্তির পথে যুক্ত করতে হবে বলেও জোর দেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি গাজা ‘দখল’ করবেন এবং এর জনগণকে পুনর্বাসন করে ছিটমহলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ হিসেবে পুনর্বাসন করবেন। আরব বিশ্ব ও অন্যান্য দেশ এই ধারণাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ‘এটি জাতিগত নিধনের শামিল’।
গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছে। যার ফলে ইসরাইলের গণহত্যা যুদ্ধ স্থগিত করা হয়েছে যা প্রায় ৪৮,৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ছিটমহলটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ছিটমহলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।
সূত্র: বার্তাসংস্থা আনাদোলু