শ্রীবরদিতে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি, ভোগান্তি ও পরিবেশ দূষণ!
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমিতে ভেকুমেশিন বসিয়ে ৫থেকে ৬ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক মাটি কাটার স্পট। আর এসব ফসলি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ইটভাটাগুলোতে। দীর্ঘদিন ধরে এসব মাটি কাটার কাজ চললেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমি। এই অব্যাহত মাটিকাটা ও মাটি অনত্র্য নেওয়ার কারণে ব্যবহৃত ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলো ধুলাবালি ও কাদামাটিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার সাধারণ জনগন, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।রানীশিমুল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ওই গ্রামের প্রত্যন্ত ফসলি জমির মাঠে চাষাবাদ না করে ভেকু মেশিন দিয়ে অবাদে মাটি কাটা হচ্ছে। কয়েক মিনিট পরপর এক একটি ট্রলি ভরে এসব মাটি নেওয়া হচ্ছে পাশের ইটভাটাগুলোতে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এসব মাটি কাটার মহাৎসব। স্থানীয়রা জানান রানীশিমুল ইউনিয়নের অধিকাংশ জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন মো: শিপন। সে ইসলামপুর উপজেলা থেকে বিতাড়িত হয়ে শ্রীবরদীতে স্থায়ী ভাবে ঘাটি গেড়েছেন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সে দীর্ঘদিন ধরে এখান থেকে মাটি কাটছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেংগরপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বাংলা এফ এম সংবাদকে জানান, কৃষকরা এখন জমিতে চাষাবাদ না করে তাদের কাছে কম দামে জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। টেংগরপাড়া গ্রামের কদমতলা ব্রিজের নিচে অবেধ্য ভাবে মাটি কাটা হয় যা ব্রিজের ভারসাম্য ও ভর ঝুঁকিপূন্য ভাবে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা এফ এম কে বলেন, আবাদি জমি অবেধ্য ভাবে কাটার কারনে চলাচলের সড়কগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফসলি জমির পাশাপাশি রাস্তাঘাটগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।