খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না এবং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
অন্যদিকে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, যেখানে অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া যায়। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফশার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে একজনকে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান হিসেবে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
তবে খুলনা মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল জানান, ‘কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে। মাহবুব বর্তমানে যুবদলের কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। কুয়েট এলাকায় অবস্থান নেওয়া তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, সেখানে সংগঠনের কোনো বিষয় ছিল না।’
দৌলতপুর থানা বিএনপির একজন নেতা জানান, মাহবুব যুবদলের সাবেক সহসভাপতি। বর্তমানে সে কোনো পদে নেই।