সিলেট ব্যুরো:-
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা ইঞ্জনিয়ার ও মেকানিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার রুহুল ও ম্যাকানিক সেলিম, দক্ষিন সুুরমা উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার কাজি রুহেল, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ ও ম্যাকানিক সুজিত। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে জৈন্তাপুর উপজেলার লামা শ্যামপুর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন গতকাল সোমবার (১৭ফেব্রুয়ারী) সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে সরকারি ভাবে টিউবওয়েলের কাজ চলমান। কিন্তু উক্ত টিউবওয়েলের কাজগুলি নির্দারিত ঠিকাদারের কাছ থেকে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার রুহুল ও ম্যাকানিক সেলিম অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে করছেন।

তিনি অভিযোগে উল্ল্যেখ করেন, মূলত কাজগুলি সাধারন ঠিকাদার করার কথা থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার রুহুল ও ম্যাকানিক সেলিম এর হুমকি ধামকির কারনে বাধ্য হয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হয় ঠিকাদারদের। ইঞ্জিনিয়ার রুহুল ও ম্যাকানিক সেলিম যৌথভাবে মিলিত হয়ে তাদের লোক এবং সরঞ্জাম দিয়ে কাজগুলি করছেন যাহা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং অন্যায়। এখানে অন্যান্য সাব-ঠিকাদারগন কোনভাবে কাজ পাচ্ছে না। কাজ করতে গেলে রুহুল ও ম্যাকানিক সেলিমকে বিরাট অংকের উৎকোচ দিতে হয়।
তিনি আরো উল্ল্যেখ করেন, শুধু জৈন্তাপুর নয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একই অফিসের ইঞ্জিনিয়ার কাজি রুহেল, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ ও ম্যাকানিক সুজিত জৈন্তাপুরের মতো অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঠিকাদারি করে যাচ্ছেন।
এসব উপজেলায় অন্য কোন সাব-ঠিকাদার গেলে তাদের সাথে খারাপ আচরন করা হয়। তিনি তার অভিযোগে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলেও জানান।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ই-টেন্ডারের মাধ্যমে টিকাদারদের কাজ দিয়ে থাকি। টিকাদার কাজ নিয়ে কাকে দিয়ে করাবে সেটা তার ব্যাপার। তবে কাজে কোন অনিয়ম হলে আমরা টিকাদারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা গ্রহন করি।
দক্ষিন সুরমা উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার কাজী রুহেল বলেন, আমি হলাম অফিসের লোক, আসছি চাকরি করতে। আমি কেন টিকাদারি করতে যাব। আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। জৈন্তাপুর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আমরা কাজ দেখাশোনা করি, টিকাদার কাজ করে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের উপজেলায় এখনও কাজ শুরু হয় নাই। তিনি অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।