২০২৩ সালে সড়কে ঝরেছে ৬৫২৪ প্রাণ

২০২৩ সালে সারাদেশে ৬ হাজার ৯১১টি সড়কে ৬ হাজার ৫২৪ প্রাণ ঝরে পড়ার তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৪০৭ জন।
২০২২ সালের তুলনায় ‘২৩ সালে দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে।
আজ শনিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠান।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী দেশে গত বছর ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ১১ হাজার ৪০৭ জন।
মোট নিহতের ১৭ শতাংশের বেশি শিশু। গত বছর দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ১ হাজার ১২৮ শিশু নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন সড়কে তিনজনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া গত বছর দেশের আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সময়, বসতবাড়ির আশপাশের সড়কে খেলাধূলার সময় নিহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে যাত্রী বা পণ্যবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কারের ধাক্কায়। এরপর আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়কের গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রায় ১৬ শতাংশ শিশুর প্রাণ গেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায়। স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, ভটভটি বা মাহিন্দ্র কেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ শিশুর প্রাণ।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর শিশু মৃত্যু গ্রামীণ সড়কের তুলনায় আঞ্চলিক সড়কে বেড়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশেরই বয়স ৬-১২ বছরের মধ্যে। এরপরই আছে ১৩-১৮ বছর বয়সের শিশু। নিহত শিশুদের মধ্যে ৩৭ শতাংশই এই বয়সের।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

বিষয়: * রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
সর্বশেষ সংবাদ