মোঃ সোহেল রানা
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলা এফএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন গনপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
জানা যায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্ৰামের মোঃ আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন অনেকদিন যাবত চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসান পাড়ায় চাঁদাবাজিকালে বাকবিতন্ডার সময় (১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে) ক্ষুব্ধ জনগণের হাতে গণপিটুনি খেয়ে পরে নিহত হয়। তবে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় যে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও চাঁদাবাজির জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এ নিয়ে নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মোঃ আব্দুল মান্নান মন্ডল (১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে) সাদুল্লাপুর থানায় ২৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার এজাহারে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং হয়রানিমূলক ১৬ জন জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের জড়িয়ে মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসীরা জবানবন্দিতে বলেন জামায়াত-শিবিরের লোকজনদের আমরা চিনি, তাদের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনা কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে, যাহা দুঃখজনক।
এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা, সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের এবং গভীর উদ্বিগ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এই উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন মহল থেকে। এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ অত্র উপজেলার সচেতন নাগরিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এলাকাবাসীর দাবি দায়েরকৃত মিথ্যা , বানোয়াট, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক মামলাটি প্রত্যাহার করে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের নামে পুনরায় মামলা দায়ের করা।