শিরোনাম
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ   » «    বেনাপোল যশোর রোডে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ১৫   » «    ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যস্ত খেজুর গাছীরা   » «    মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পরে হিরো আলম ও রিয়া মনি   » «    পাকিস্তান থেকে দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আবার এলো সেই জাহাজ   » «   

রাণীশংকৈলে প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ, সবচেয়ে বেশি কষ্টে শ্রর্মজীবি ও নিন্ম আয়ের মানুষ

 ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ৫ টি উপজেলা নিয়ে অবস্থিত। এ জেলার মধ্যে রাণীশংকৈল উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাড়কাঁপানো  শীত।  প্রচন্ড ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার বাতের কবলে স্বাভাবিক চলাফেরায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষ ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাণীশংকৈল পৌর শহরসহ সমগ্র উপজেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮° থেকে ৯° ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর । তারপরও দিনের একটা বড় অংশ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। এমন অবস্থা বিরাজ করায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষ। এরকম বৈরি আবহাওয়ার কারণে দিনে আনে দিনে খাওয়া মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে কাজের সন্ধানে বের হতে পারছেন না। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের দিনানিপাত।
একই সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অসহায় হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা সহ পশু পাখি।এছাড়াও বিভিন্ন শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। দিনের বেলায় কুয়াশা কম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পড়েই কুয়াশার চাঁদরে ঢেঁকে যায় সমস্ত রাস্তা- ঘাট। ঘন কুয়াশার ফলে চলাচলে বিঘন্নতা দেখা দেয় বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মাঝে।রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে গেলে যানবাহনের হেডলাইট জ্বালানো থাকা সত্বেও ৩-৪ ফিট সামনে থেকেই কিছুই দেখা যায় না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে খুদে শিক্ষার্থী সহ কলেজ পড়ুয়াদের। এই শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে রেহাই পাইনি ধানের বীজতলা, বিভিন্ন জাতের রবি শস্য ও সবজির ক্ষেত। এমন আবহাওয়া আরো কয়েকদিন চলমান থাকলে চরম ভোগান্তির মোকাবেলা করে টিকে থাকতে প্রচন্ড বেকায়দায় পড়তে হবে উপজেলা বাসীকে।
অপরদিকে দিনের বেলা সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে বাস-ট্রাকসহ পরিবহণগুলো। এদিকে শীতের তীব্রতা নিবারণে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গরম কাপড় নিয়ে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুরু করেছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা:আব্দুস সালাম বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডায় শিশু সহ অনেক বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনায় থাকে যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি, সহ ডাইরিয়া, নিউমনিয়া।তাই ছোট শিশু ও বাচ্চাদের বিশেষ যন্তে গরম ও উষ্ণতায় রাখতে হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও ডা: ফিরোজ আলম বলেন,অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ডাইরিয়া জনিত রোগ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী কে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বেশ কয়েক জন এ রোগে ভর্তি আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ফসলে ক্ষতির খবর পাইনি। তবে আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গণ সব সময় উপজেলার কৃষকদের মাঝে পরামর্শ ও শীতের ক্ষতি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিতরণ করে কৃষকদের সচেতন করে চলছেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান,এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় একটি পৌরসভা সহ ৮ টি ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মাঝে ৪  হাজার শীতের কাপড় হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে আগামীতে আরো আসলে আমরা সেটাও মানুষের মাঝে বিতরণ করেবো।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
বিষয়: * জনজীবনে দুর্ভোগ * প্রচন্ড ঠান্ডা * রাণীশংকৈল
সাম্প্রতিক সংবাদ