আলোচনা-সমালোচনা ইলন মাস্কের পিছু ছাড়ছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় সরব উপস্থিতিসহ বড় অঙ্কের অর্থ অনুদান দিয়ে আলোচনায় আছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পও ক্ষমতায় বসার পর এই ঘনিষ্ঠ মিত্রকে নিজের পাশে রেখেছেন। দায়িত্ব পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই)। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে দফায় দফায় কর্মী ছাঁটাই করেও শিরোনাম হচ্ছেন তিনি।
এসব আলোচনা পেছনে ফেলে টেসলার সিইওকে নিয়ে নতুন যে আলোচনাটি সামনে এসেছে, তার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন মার্কিন লেখক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার। ৩১ বছর বয়সী অ্যাশলে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় বছর তিনেক আগে। আর পাঁচ মাস আগে তিনি ইলন মাস্কের সন্তানের মা হয়েছেন।
অ্যাশলে লিখেছেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমি একটি শিশুর জন্ম দিই। আর ইলন মাস্ক সেই সন্তানের বাবা।’
যদিও এই দাবির বিপরীতে ৫৩ বছর বয়সী ইলন মাস্কের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অ্যাশলে নিজের ও তাঁর সন্তানের নিরাপত্তা, গোপনীয়তার কথা চিন্তা করে এত দিন সন্তানের বাবার পরিচয় প্রকাশ করেননি। তবে কিছু ট্যাবলয়েড পত্রিকা মনগড়া খবর প্রকাশ করছে দেখে সত্যিটা সামনে আনলেন। তাঁর মতে, ‘আমি চাই, আমাদের সন্তান একটা স্বাভাবিক আর নিরাপদ পরিবেশে বড় হোক। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করা হয়। এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পেছনে না ছোটার জন্য অনুরোধ করছি।’
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গত দুই বছরে অ্যাশলের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ম্যানহাটনে সিটি হলের কাছে তিনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এমন একটি বিলাসবহুল বাড়িতে থাকছেন, যার ভাড়া প্রতি মাসে ১৫ হাজার ডলার বা ১৮ লাখ টাকা। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাশলের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, অ্যাশলের সন্তানের বাবা ইলন মাস্ক, এটি শুনে তিনি মোটেও অবাক হননি। বরং তিনি এরকম কিছুই ধারণা করছিলেন।
পুরো ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে অ্যাশলে ইলনের ১৩তম সন্তানের মা। এর আগে ইলন চারটি বিয়ে করেছেন।