(মধ্যনগর) সুনামগঞ্জঃ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও ধর্মপাশা দুই উপজেলার সংযোগে সড়কের কিনারায় প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠেছে অসংখ্য নাম না জানা গাছ গাছালি।সেই গাছ গুলোর  কেটে করছে নিধন।

যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনার হাত থেকে বাচাতে রাখে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে সেই গাছগুরো।এছাড়াও বাড়িয়েছে মহাসড়কের সৌন্দর্য্য।অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় সহ দেশীয় গাছগুলো দিচ্ছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন।

প্রাকৃতিক ভাবে জন্মনেয়া দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ(গাছগুলো)র অবস্থান সড়কের দুপাশেই।কিন্তু এগুলোবিনিষ্ট করে চলছে গাছালির মাথা মুড়িয়ে এমনকি গুড়ালি মুড়িয়ে কর্ত্তনকরে বৃক্ষ নিধন কাজ। যা প্রকৃতির স্বাভাবিকতার ভারসাম্য ও পরিবেশের উপর পরছে বিরুপ প্রভাব। এমনটি ডিসেম্বরের প্রথমদিকে সরেজমিনে উঠে আসে গাছ কাটার চিত্র।

গাছে গুলোর ফাকে রয়েছে জমানো সিমেন্টের তৈরী ব্লক।দেখে বুঝায় সড়কের প্রতিরক্ষায় কিনার দিয়ে চলছে বাঁধ নির্মানকার্য্য। জনমনে প্রশ্ন আছে রাস্তার প্রতিরক্ষা হউক! তবে দুপাশের গাছগুলো টিকিয়ে রেখে। তবে গাছের কর্তনের অবিযোগে সরেজমিনে কোন লোকজনকে পাওয়া যায় নি।

প্রত্যাক্ষদর্শীদের মধ্যে মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান মজুমদার রবীন জানান,১৯ডিসেম্ভর মঙ্গলবার দুপুরে মধ্যনগর থেকে ধর্মপাশা যাওয়ার পথে আমার চোখে পড়ে গলইখালী থেকে সাড়ারকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে দেশীয় অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে।বাংলাদেশ সরকার বৃক্ষ রোপনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে কেন মধ্যনগরে এমনটি? আমাদের এখানে এমনচিত্র বড়ই দুঃখ জনক। আমি প্রশাসনের কাছ জোড়দাবী জানাই দ্রুতই সড়কের দুপাশের গাছগুলো রক্ষা করে বাঁধের কাজ যেন করা হয়।

এবিষয়ে  মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্মী চাকমা বলেন-বিষয়টি জানা ছিল না আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি,প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।