শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের শ্রীবরদীতে আওয়ামীলীগ নেতার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পাচঁ বছর থেকে ভিটেমাটি ও ফসলী জমি থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন এক নিঃস্ব কৃষক পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোশারফ হোসেন ফটিক, দীর্ঘদীন রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করে এলাকাতে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে জমি দখল ও নানা রকম অন্যায় অবিচার প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, ৫ জুলাই ফ্যাসিবাদ সরকারের ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেই তিনি তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন অবাধে। ভোক্তভুগি দেলোয়ার হোসেন বলেন আমি নিরীহ মানুষ, ২০২০ সালে পারিবারিক ঝামেলা সৃষ্টি করে আমার স্ত্রীর গলায় দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে মোশাররফ হোসেন ফটিক, অল্পের জন্য আমার স্ত্রী বেচে যান, এর পর থেকে রাম দা উচিয়ে প্রায় আমাদের আক্রমন করতো আসতো আমরা ভয়ে পার্শবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিতাম, ফটিক প্রকাশ্যে হুমকি দেয় আমরা যদি ভিটেমাটি ও ফসলী জমিতে আবাদ ফসল করি তাহলে আমাদের মেরে জমিতে পুতে ফেলবে, তার ভয়ে আমরা বিগত ৫ বছর অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছি, অন্যের বাড়ীতে একটি ঘড়ে আমার দুই ছেলে তাদের স্ত্রী সহ একটি ঘড়ে ৬ জন কোনরকম মানবেতর জীবন যাপন করছি, ফটিক আমাকে প্রকাশ্যে প্রাননাশের হুমকি দিয়েছে আমি যদি আমার বাড়ি ভিটায় যায় তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে, সেই হুমকি দিয়ে আমার সব ফসলী জমি বিগত ৫ বছর থেকে ভোগদখল করে আসতেছে।
ধানশাইল গ্রামের শিরিনা বেগম বলেন, ফটিক আমার ১৬ কাঠা জমি অন্যায় ভাবে ভোগদখল এর জন্য নানা রকম হুমকি ধামকি প্রদান করে আসতেছে। আমি ভয়ে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছিনা, আমি এর সুবিচার চাই।
রানীশিমুল গ্রামের আশিক মিয়া বলেন, ফটিক আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে রেখেছিলো, অল্পের জন্য আল্লাহ রক্ষা করছে,আমি এখনো আতংকিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি।
ছনকান্দা গ্রামের মেহেরুন্নেসা বলেন, ফটিক অনেক লোভী ও প্রতারক আমার পিতার পেত্রিক সম্পতি থেকে আমাকে বঞ্চিত করে রেখেছে, জমি উদ্ধার করতে আসলে আমাকেও নানা রকম হুমকি ধামকি প্রদান করিতেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ফটিক এর ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না, তিনি সব সময় দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত থাকেন।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ( ভারপাপ্ত) আনোয়ার জাহিদ বলেন এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ আমি পায়নি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।