শিবচর(মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের শিবচরে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে টাকা আদায় চক্রের ৩সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করেছেন এএসপি(শিবচর সার্কেল) আজমীর হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ১০ফেব্রুয়ারী শিবচরে হাতিরবাগান মাঠের পাশে মুদী দোকানদার রেজাউল ইসলাম এর স্ত্রী নাসরিন আক্তারের মুঠোফোনে ফোন দেয় প্রতারক চক্রটি।
চক্রটি ফোন দিয়ে বলে আপনাদের হাতির বাগান মোড়ে যে দোকান সেটি সরকারী জায়গায় পরেছে। দোকানের টিনের সাথে লেগে আর্মির গাড়ীর সামনের গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। ওই গ্লাস মেরামতের জন্য ভুক্তভোগী নাসরিস আক্তারের কাছে ৩হাজার টাকা চায়, টাকা না দিলে বড়ধরনের মামলা ও হয়রানির ভয় দেখা প্রতারকচক্র। ভয়ে ৩হাজার টাকা নগদে দিলে। পরবর্তীতে ৪হাজার টাকা চায়। ৪হাজার টাকা দিলে। একইভাবে ২৫,০০০/-টাকা দাবী করে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর সন্দেহ হলে তিনি অত্র এলাকার আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে ঘটনা জানালে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনাবাহীনি যৌথভাবে অভিযান চালায়। প্রায় ৩দিনের অভিযান শেষে চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার ডিসি রোড এলাকার ছিরু শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ(৩৫), হাতীরবাগান এলাকার কুদ্দুস শিকদারের ছেলে কাওছার শিকদার(২১) ও শংকর মালোর ছেলে সিমান্ত মালো (২০)। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের আটক দেখানো হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি শিবচরের বিভিন্ন জনের কাছে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। তেমনই একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে টানা ৩দিন সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। গেলো কয়েক মাসে কয়েক লাখ টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নেয় চক্রটি। পুলিশ আরো জানায়, অভিনব কৌশলে ভুক্তভোগীকে ফোন দেয় চক্রটি। ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য পুলিশের গাড়ীর সাইরেন ও ওয়াকিটকি শব্দ ব্যবহার করে তারা। বড় ধরনের মামলা ও হয়রানির ভয় দেখিয়ে বিকাশ,নগদে টাকা দাবী করে এই প্রতারক চক্র।
এএসপি(শিবচর সার্কেল) আজমীর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো সদস্য এ কাজে জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।