নিরাপদ ক্যাম্পাস, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে চার দিন ধরে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পর এবার আমরণ অনশনে বসেছেন ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এই অনশন শুরু হয়। এতে অংশ নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, নারী অঙ্গন ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, রাজনৈতিক শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, দপ্তর সম্পাদক নাইম শাহজাহান, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।
অনশনরত শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের ওপর নিকৃষ্ট হামলার ১০ম দিন আজ। প্রশাসন কোনো প্রতিকার করতে পারেনি, বরং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হুমকি দিচ্ছে। সাত দফা দাবি পূরণ না হলে অনশন থেকে সরব না, প্রয়োজনে লাশ হয়ে ফিরতে হবে—এর দায়ভারও প্রশাসনের।
অনশনরত বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে বলেন, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি জানানোর চেষ্টা করা হলেও প্রশাসন কোনো সমাধান দেয়নি। অনশনে যাওয়ার আগেও উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, আহতদের মানসম্মত চিকিৎসা, নিরাপদ আবাসন, হামলার ভিডিও প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।
গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। ৪ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ও মশালমিছিল শেষে প্রক্টর অফিসে লাল রং ছিটিয়ে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন তারা।