এল. মোহাম্মদ :
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ ও ছিনতাই ঘটনার সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ভারতীয় জনতার গণপিটুনিতে আকরাম হোসেন (৩০) নামে বাংলাদেশু এক যুবক নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১১ আগষ্ট) বিকালে
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি হিলস জেলার কৈথাকোণা গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত যুবক আকরাম হোসেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। বাঁকাকুড়া এলাকার ইউপি সদস্য মোছা সরদারসহ গ্রামবাসীরা জানান ভারতে জনতার গণপিটুনিতে নিহত আকরাম হোসেন বরিশালে বিয়ে সাদী করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বরিশালেই থাকতো। ভারতীয় পুলিশের বরাদ দিয়ে বিজিবির একটি সুত্রে জানা গেছে, তারা ৮ বন্ধু মিলে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সুনামগঞ্জ সীমান্তপথে ভারতের খাসি হিলস জেলায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা ভারতের
রোংদাংগাই গ্রামের এক বাসিন্দাকে অপহরণের চেষ্টা এবং বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় ওই গ্রামের বাসীন্দারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারি ৬ আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তারা গুরুতরভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ আহতের উদ্ধার করে ভারতের মাহেশখোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে সেখানে আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয় বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
ভারতের খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বানরাম জিরওয়ার বরাদ দিয়ে ব বিজিবির একটি সুত্র জানায় আটককৃতদের কাছ থেকে একটি রিভলভার, পরিচয়পত্র, তিনটি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন বাংলাদেশি নাগরিক আটককৃতদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আদালতে সোপর্দ্দ করা হয়েছে । দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো,আল আমীন বলেন আকরাম হোসেন ভারতে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এবং তার নামে থানায় অপহরণ মামলার একটি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। অপরদিকে ভারত থেকে আকরাম হোসেনের মরদেহ ফেরত আনতে তার বড় ভাই শেখ ফরিদ বিজিবির কাছে আবেদন করেছেন। ময়মনসিংহ ৩৯ ব্যাটালিয়নের বিজিবির ঝিনাইগাতী উপজেলার নওকুচি সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নিহত আকরাম হোসেনের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মৃতদেহ ভারত থেকে ফেরৎ আনার প্রক্রিয়া হিসাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
লাল মোঃ শাহজাহান কিবরিয়া