Bangla FM
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • কলাম
  • ভিডিও
  • অর্থনীতি
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • প্রবাস
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • মতামত
  • লাইফস্টাইল
No Result
View All Result
Bangla FM

আজ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

Bangla FMbyBangla FM
8:57 am 26, February 2025
in ক্যাম্পাস
A A
0

আবু হাসনাত তুহিন, পবিপ্রবি সংবাদদাতা:

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঘেরা এ বিদ্যাপীঠ দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার দুয়ার উন্মুক্ত করেছে এবং দেশের সার্বিক আইন ও ব্যবসা শিক্ষায়, কৃষি, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আইন, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটার বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ প্রদান করে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক গবেষণাগার, উচ্চ মানের পাঠদান ব্যবস্থা ও গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের কৃষি ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পবিপ্রবি তার পথচলা অব্যাহত রেখেছে। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে এটি দেশের কৃষি ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গের গর্ব পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সত্যিই এক সম্ভাবনাময় বিদ্যাপীঠ!  আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৩ তম জন্মদিন। 

এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।  বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হন। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রশাসনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক  উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির  উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। এসময় উপাচার্যের সাথে উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবদুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

পরে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে কেক কেটে সেখান থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। শোভাযাত্রায় উপাচার্যের সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। 

সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টার ও টিএসসির সামনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও রক্তদান কর্মসূচী পালন করা হয়। সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ এর ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবদুল লতিফ এবং বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন কমিটির কনভেনর অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব রব্বানী।

বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রীতি ফুটবল, হাঁড়ি ভাঙ্গা, হাঁস-মুরগী হুলস্থুল ও রশি টানাটানি খেলা। বিকাল ৩ টায় টিএসসির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন শীর্ষক বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসন ভবন, কেরামত আলী হল, বিজয় ২৪, বিজয় ৩৬, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ ও ২, সকল অনুষদের একাডেমিক ভবন সমুহ,  ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডসমূহে সাজসজ্জা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর হতে উন্নত মেধা বিকাশের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। যার পেছনে রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস ত্যাগ ও পরিশ্রম। অবকাঠামোগত ধারাবাহিক উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কম্পনেন্টকে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজ ছাত্র ছাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে ডিগ্রি নিতে পারছেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি যথাসময়ে পেয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই উদারনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চাকুরিজীবীর বিরুপ মন্তব্য পাওয়া যায় না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি বড় গুণ সকলেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রেখে চলেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পটভূমি:- দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জনগণের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ সহজলভ্য করাই ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যে। এ প্রতিষ্ঠানটির একটি দীর্ঘ পটভূমি রয়েছে। এটি প্রথমে জনতা কলেজ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারি কৃষি কলেজ এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কাঠামো এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এফিলিয়েশনের আওতায় অতঃপর পটুয়াখালী কৃষি কলেজ নামে বিএসসি এজি. (অনার্স) ডিগ্রি প্রদানকারী দক্ষিণ অঞ্চলের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। 

পরে ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পবিপ্রবি আইন পাস হয় এবং পবিপ্রবি আইন, ২০০১ এর ধারার (২) উপ ধারা মর্মে এসআরও ৩৫ -আইন/২০০২ অনুবলে ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার-সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারী করে উক্ত আইন কার্যকরের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক এতদুদ্দেশ্যে উক্ত আইনের ধারা ৫৯ এর দফা(খ) মর্মে বিলুপ্ত কৃষি কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে আত্তীকরণ করা হয়। 

ক্যাম্পাসটির অবস্থান ও আয়তন:- পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে ১৫ কি.মি. উত্তরে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২৮ কি.মি. দক্ষিণে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালী থেকে ৫ কি.মি. পূর্বে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বরিশাল ক্যাম্পাসটি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়তন ১১০ একরের মধ্যে মূল ক্যাম্পাস ৯৭ একর ও বরিশাল ক্যাম্পাস ১৩ একর।

ক্যাম্পাসটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এর পরিচিতি:-

বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে সুবিশাল মনোরম ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিমাংশে অত্যাধুনিক ছাত্র ছাত্রী হল। এর পাশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং মসজিদের পাশে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বা হেল্থ কেয়ার সেন্টার। এর উল্টো দিকে রয়েছে গ্রন্থাগার ভবন আর ক্যাম্পাসের পশ্চিম অংশ জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত খেলার মাঠ। রয়েছে লালকমল, নীলকমল, তরঙ্গতনু নামে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন পুকুর। নীলকমলের ওপরে রয়েছে একটি সুন্দর সেতু। অন্যদিকে লালকমল আর খেলার মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ছায়াঢাকা রাস্তাকে ছাত্রছাত্রীরা বলে থাকে ‘প্যারিস রোড’। একটি প্রশস্ত রাস্তা ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে পূর্বের পীরতলা থেকে পশ্চিমের মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ সড়কের দক্ষিণ দিকে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন। মূল ক্যাম্পাসের পূর্বদিকে পীরতলা বাজার পেরুলেই ৫৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা খামার ও ছাত্র হল।

বর্তমান অবস্থা:- বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর এ পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বর্তমানে ৮টি অনুষদ ও পোস্টগ্রাজুয়েট পর্যায়ে মোট ৪২৯৬ জন ছাত্রছাত্রী (স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি), ২৪৭ জন শিক্ষক (অধ্যাপক ১৩৯, সহযোগী অধ্যাপক ৪১, সহকারী অধ্যাপক ৫১, প্রভাষক১৬ জন)। ২২০ জন কর্মকর্তা ও ৪৮৯ জন কর্মচারী (৩য় শ্রেণী ৭৮, ৪র্থ শ্রেণী ৪১১) রয়েছে। কেবলমাত্র কৃষি অনুষদ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে দেশ ও জাতির সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি অনুষদের অধীনে ৯টি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ টি হল রয়েছে। বরিশালের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আরো ২টি হল। কৃষি গবেষণা খামার রয়েছে ৩ টি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল লাইব্রেরি। লাইব্রেরি ভবনে ৫৫ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বই, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক ভলিউম ও সাময়িকী রয়েছে। রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র (ইলেকট্রনিক চিপ) করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের সকল হলসহ সর্বত্র হাইস্পিড ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াইফাই নেট চালু করা হয়েছে। চলমান রয়েছে অটোমেশন প্রক্রিয়ার কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে সুবিশাল মনোরম ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিমাংশে অত্যাধুনিক ছাত্র ছাত্রী হল। এর পাশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং মসজিদের পাশে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বা হেল্থ কেয়ার সেন্টার। এর উল্টো দিকে রয়েছে গ্রন্থাগার ভবন আর ক্যাম্পাসের পশ্চিম অংশ জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত খেলার মাঠ। রয়েছে লালকমল, নীলকমল, তরঙ্গতনু নামে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন পুকুর। নীলকমলের ওপরে রয়েছে একটি সুন্দর সেতু। অন্যদিকে লালকমল আর খেলার মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ছায়াঢাকা রাস্তাকে ছাত্রছাত্রীরা বলে থাকে ‘প্যারিস রোড’। একটি প্রশস্ত রাস্তা ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে পূর্বের পীরতলা থেকে পশ্চিমের মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ সড়কের দক্ষিণ দিকে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন। মূল ক্যাম্পাসের পূর্বদিকে পীরতলা বাজার পেরুলেই ৫৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা খামার ও ছাত্র হল।

অবকাঠামো উন্নয়ন:- অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান। এর মধ্যে ভূমি উন্নয়ন, ৪ তলা খামার ভবনের আনুভূমিক সম্প্রসারণ, প্রশাসনিক ভবনের জন্য ৫ তলা আরেকটি সিড়ি, ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা হল এবং শেখ রাসেল হল, ১০ তলা ও ৬ তলা বিশিষ্ট দুটি একাডেমিক ভবন, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের সম্প্রসারণ, ২ তলা আনসার ব্যারাক ভবন, আবহাওয়া স্টেশন ভবন, ২ তলা উপাচার্যের বাসভবন, বিদ্যমান ইউনিভার্সিটি স্কুল ও কলেজের ৪ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ, ১০ তলা অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, ৫ তলা সহকারী অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের ভবন, মুক্তমঞ্চ, মিনি স্টেডিয়াম, আধুনিক ব্যায়ামাগার, সুবজ বেষ্টনীবিশিষ্ট প্রাচীর নির্মাণ সহ নানাবিধ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

গবেষণা কার্যক্রম:- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এর আওতায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাফল্যের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৮০১টি গবেষণা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে নিজস্ব ও সরকারি অর্থায়নে ২০২৩-২০২৪সালে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প দু’শতাধিক। পবিপ্রবিতে বেশ কয়েকটি উন্নত ও উচ্চফলনশীল ফলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে পিএসটিইউ বিলাতীগাব- ১, পিএসটিইউ বিলাতীগাব-২, পিএসটিইউ ডেউয়া-১, পিএসটিইউ ডেউয়া-২, পিএসটিইউ বাতাবি লেবু-১, পিএসটিইউ কামরাঙ্গা-১, পিএসটিইউ কামরাঙ্গা-২, পিএসটিইউ তেঁতুল-১, পিএসটিইউ বৈচী-১ অন্যতম। বায়োচার প্রযুক্তি উদ্ভাবন, দেশের প্রথম ও একমাত্র জলহস্তীর কঙ্কাল প্রস্তুতকরণ, ১০০ টি দেশীয় জাতের পাঁচ শতাধিক ধানের গবেষণা ও সংগ্রহশালা, ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষে ‘ফট্রিপ মেথডথ পদ্ধতিতে ২২-২৫ শতাংশ বেশি উৎপাদনে সক্ষমতা আনয়ন ও লবণাক্ততা ও জলামগ্নতাসহিষ্ণু ধান উৎপাদনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। এছাড়াও উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক গবেষণা চলমান। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও গবেষণার জন্য কুয়কাটায় অবস্থিত মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলছে।  কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিনিয়ত চলছে নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রম। এছাড়াও প্রোগাম বেইজড গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। পবিপ্রবির সাথে  ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চায়না, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় বিধায় এখানে ভারত ও নেপাল থেকে এসে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে।

শিক্ষার মান:- অত্যাধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি হিসেবে খ্যাত আমেরিকার ক্রেডিট কোর্স সিস্টেম পদ্ধতি চালু রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম ২০০২ সালে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য এখানে রয়েছে ৩২টি আধুনিক গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি। রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংবলিত একটি সুবৃহৎ কেন্দ্রীয় গবেষণাগার। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানেরও উন্নয়ন ঘটেছে। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করতে কোর্স কারিকুলাম কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। চালু হয়েছে আউটকাম বেইজড কারিকুলাম। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শতভাগ ডিজিটালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম:- একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে। বার্ষিক ক্রীড়া এবং আন্তঃঅনুষদীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য রয়েছে কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যান্ড দল। রয়েছে সাংবাদিক সমিতি, বাঁধন, বিএনসিসি, রোভার, অনুষদীয় ক্লাবসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক সমাজিক সংগঠন। যা স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান এ পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড কাজী রফিকুল ইসলাম একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানসহ ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও গবেষণার জন্য কুয়কাটায় মেরি ন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনের নিমিত্তে ৬০০ কোটি টাকার ডিপিপি জমা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন ও পরিকল্পনামাফিক করার লক্ষ্যে মূল ক্যাম্পাস, বরিশালের এএনএসভিএম অনুষদ এবং কুয়াকাটায় প্রস্তাবিত মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত করে ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করার জন্য একটি ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এটি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, আমি আহ্বান জানাই আমাদের সকল শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে—আপনারা জ্ঞান ও মানবসেবার আলো জ্বালিয়ে রাখুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ইট-পাথরের গড়া একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের গৌরবের প্রতীক, আমাদের স্বপ্নের ঠিকানা।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আবদুল লতিফ বলেন, প্রিয় পবিপ্রবির ২৩তম জন্মদিনে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পবিপ্রবি আগামী দিনগুলোতে আরও সমৃদ্ধ হবে এবং জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে বলেন, গৌরব ও ঐতিহ্যের ২৩ বছরের  এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা আমাদের অতীতের অর্জনকে সম্মান জানাই এবং ভবিষ্যতের পথে নতুন সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করি। আমাদের লক্ষ্য হবে প্রযুক্তি, গবেষণা, এবং সৃজনশীলতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা, যাতে আমরা জাতির উন্নয়নে আরো বড় ভূমিকা রাখতে পারি।

উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী! এটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং এক গৌরবময় ইতিহাস, সাফল্য, ও উত্তরাধিকার। এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পিছনে যাদের অবদান তাদেরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্য ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 

উপাচার্য আরও বলেন,  ২৩ বছর আগে যে বীজটি রোপণ করা হয়েছিল, তা আজ মহীরূহে পরিণত হয়েছে। জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আমরা দেশ ও বিশ্বসভায় আমাদের অবস্থান সুসংহত করেছি। আমাদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণ তাঁদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। চলুন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি, যাতে আগামীতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের এক অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভ দিনে, সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা!

Tags: শিক্ষা
ShareTweetPin

সর্বশেষ সংবাদ

  • দিনাজপুর বিরলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও হুমকির অভিযোগ, সহকারী শিক্ষকের লিখিত আবেদন
  • শ্যামনগরে শীতকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের প্রস্ততি সভা
  • শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা
  • স্বাধীনতাবিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের গণস্বাক্ষর
  • পিরোজপুরে নারী ও কন্যার প্রতি প্রযুক্তির জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে প্রেস ব্রিফিং

প্রকাশক: আনোয়ার মুরাদ
সম্পাদক: মো. রাশিদুর ইসলাম (রাশেদ মানিক)
নির্বাহী সম্পাদক: মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ

বাংলা এফ এম , ১৬৪/১, মোহাম্মাদিয়া হাউসিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ

ফোন:  +৮৮ ০১৯১৩-৪০৯৬১৬
ইমেইল: banglafm@bangla.fm

  • Disclaimer
  • Privacy
  • Advertisement
  • Contact us

© ২০২৫ বাংলা এফ এম

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist

No Result
View All Result
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • ভিডিও
  • কলাম
  • অর্থনীতি
  • লাইফস্টাইল
  • ক্যাম্পাস
  • আইন ও আদালত
  • চাকুরি
  • অপরাধ
  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  • ফটোগ্যালারি
  • ফিচার
  • মতামত
  • শিল্প-সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© ২০২৫ বাংলা এফ এম